র‌্যাব-ডিবির এভিডেন্সে প্রশ্নের জায়গা নেই, সন্দেহ হলে কর্মসূচি

ফারদিনের মৃত্যু : ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘র‌্যাব ও ডিবি পুলিশ আমাদের যে প্রমাণাদি দেখিয়েছে, তাতে প্রশ্ন তোলার মতো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাই আপাতত আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই। ভবিষ্যতে কোনো সন্দেহ তৈরি হলে আমরা কর্মসূচি দেবো এবং যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা ফারদিনের পরিবারের পাশে থাকবো।’ ডিবি ও র‌্যাবের কার্যালয়ে গিয়ে ফারদিন হত্যার প্রমাণাদি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ সব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘ডিবির অফিসে আমাদের তিন ঘণ্টা কথা হয়েছে। তারা ৩৮ দিনে যা তথ্য সংগ্রহ করেছে যেমন- ফারদিন কোন কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছে, তার ফোনের লোকেশন, গত দুইবছরে কার কার সঙ্গে কথা বলেছে এমন ১৫ হাজার লোককে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় এনেছে। তাদের ডিজিটাল ডাটা ও তথ্যে আমাদের প্রশ্নের জায়গা কম। যা যা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ছিলো, তা করেছি। কিছু জিনিস পুরোপুরি…যেমন ফারদিনের যে ফুটেজ তারা দেখিয়েছে সেটি রাতের বেলার এবং ঝাপসা। ফুটেজ থেকে প্রশ্ন করেছি, ওইটা ফারদিন এটা বুঝার উপায় নেই। তারা বলেছে, আর কোনো ফুটেজ নেই। এটিই তাদের সবচেয়ে ভালো ফুটেজ। ফারদিনের ফোনের লোকেশন এবং টাইমিং এই সময়ে এখানেই ছিলো। এই সময়ের পর ফারদিনের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার ১৪ বা ১৫ মিনিট পর ঘড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এটা তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য। শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত রায়ের আগে আমরা কিছু বলতে পারি না।’

বুয়েট শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘আর আত্মহত্যার কোনো মোটিভ নেই, কেন সে আত্মহত্যা করবে। তারা (তদন্তকারী সংস্থা) নিজেরাও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি। চূড়ান্ত রায়ের আগে আমাদের কিছু বলা সম্ভব নয়। তাদের দেখানো এভিডেন্স এবং ডাটা থেকে আমাদের অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। মোটামুটি সন্তোষজনক উত্তর আমরা পেয়েছি। তাদের তদন্ত বা ডাটায় সন্দেহ তোলার মতো তথ্য আর আমাদের কাছে নেই। এটাই আমাদের অবস্থান।’

তারা বলেন, ‘সন্তুষ্ট কিংবা অসন্তুষ্ট এটা বিচার শেষ হওয়ার আগে অথবা অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্তের আগে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলবে না। আপাতত আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই। নতুন করে কোনো সন্দেহ সৃষ্টি হলে বা নতুন ক্লু আসতে পারে, তাহলে আমরা কর্মসূচিতে যাবো। তারা যে এভিডেন্স দেখিয়েছে, তাতে আমাদের প্রশ্নের অবকাশ ছিল না।’ তারা আরও বলেন, ‘ডিবি বা র‌্যাবের তদন্তে আমরা যত প্রশ্ন সব করেছি। তারা মোটামুটি উত্তর দিয়েছে। এর বাইরে আরও সমস্যা থাকতে পারে, সেটা আমাদের জানা নেই। আমরা তো সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা আমাদের এভিডেন্স দেখিয়ে একটা স্টোরি বলেছে। এই প্রমাণাদি এভাবে হলে স্টোরি এটা হয়। তাদের টেকনোলজিকাল ডাটাকে তো আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারি না। আমাদের হাতে আর কোনো তথ্য নেই, যার ভিত্তিতে আমরা তাদের সন্দেহ করতে পারি। আমাদের কাছে প্রশ্ন করার মতো তথ্য নেই। এখন ভবিষ্যতে যদি কোনো তথ্য আসে তাহলে আমরা চিন্তা করবো। যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা ফারদিনের পরিবারের পাশে থাকবো।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More