শফিউল আলম প্রধান আমৃত্যু আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন : দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শফিউল আলম প্রধান আমৃত্যু ভারতের আধিপত্যের প্রতিবাদে কাজ করে গেছেন, ভারতবিরোধী ছিলেন। তিনি অবস্থান পরিবর্তন করেছেন কিন্তু গণবিরোধী, দেশবিরোধী কিছু সমর্থন করেননি। কোনোভাবে দুর্নীতিকেও প্রশ্রয় দেননি। বুধবার শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জাগপা আয়োজিত ‘শফিউল আলম প্রধান-এর সংগ্রামী জীবনের চিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণসভায়’ তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, শফিউল আলম প্রধানের রাজনৈতিক অনুসারী ছিলাম না। তার রাজনীতি এবং আমার রাজনীতি বিপরীত একটি বিষয় ছিল। তার যে সাহসিকতা, সত্যবাদিতা, নিজের রাজনীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেয়া-এটা আমার ভালো লেগেছে। মানুষ যা দেখছেন তার বিপরীত চিন্তাধারাও তার মধ্যে ছিল। তিনি আমৃত্যু ভারতের অধিপত্যের প্রতিবাদে কাজ করে গেছেন। তিনি অবস্থান পরিবর্তন করেছেন কিন্তু গণবিরোধী, দেশবিরোধী কিছু কখনো সমর্থন করেননি। তিনি কোনোভাবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। তিনি বলেন, শফিউল আলম প্রধান বাংলার ইতিহাসের অন্যতম একজন ব্যক্তি, যিনি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। ক্ষমতাকে রাজনীতির বিষয় বলে মনে করেননি। তিনি সত্য উচ্চারণে কখনো পিছপা হননি। এটাই তার চরিত্রের অন্যতম দিক বলে আমার মনে হয়েছে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বর্তমানে মানুষ ক্ষমতার জন্য, সম্পত্তির জন্য খুব দূরত্বই রাজনৈতিক আদর্শ পরিবর্তন করে। এই পরিবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিপন্ন করেছে, হয়তোবা জাতীয় চরিত্রকে কলুষিত করেছে। শফিউল আলম প্রধান ছিলেন ঠিক এর বাইরের একটা চরিত্র। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) হাসিবুর রহমান, শফিউল আলম প্রধানের বড় ভাই কবির প্রধান, জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More