শিক্ষাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো সময়োপযোগী করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আমাদেরও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সে জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য।’ তিনি গতকাল সোমবার গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আলোকে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে যখন বিশ্ব এগিয়ে যায়, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না। আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইত না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেতো না। এ রকম একটা সময় কিন্তু ছিলো। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছি। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন যখন সবকিছু স্থবির তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন এলাকায় নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল ছিলো না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি।’
দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ রোববার থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। যার ফলে আবার নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More