শেষ আশ্রয়স্থল নয় পুলিশ হবে মানুষের প্রথম ভরসার স্থান

চুয়াডাঙ্গায় বিট পুলিশিং সমাবেশে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার: শেষ আশ্রয়স্থল নয়, পুলিশ হবে মানুষের প্রথম ভরসার স্থান। সেই লক্ষেই বর্তমান পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র মানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আমার আপনার বেতন হয় এদের টাকায়। জণগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক আর আমরা পুলিশ তাদের কর্মচারী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে দুটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বিট পুলিশিং সমাবেশে উপস্থিত পুলিশদের উদ্দেশে এ কথা বলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার)।

এসময় তিনি আরও বলেন, এখন সময়ের সাথে সাথে পুলিশের সেবার ধরণও পরিবর্তন হচ্ছে। এখন পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের দৌড়গৌরে পৌছে যাবে। আর সেটা এ বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ পুলিশ দ্বারা হয়রানি তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের সাথে ব্যবহার খারাপ করারও কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের চাকরি করতে হলে এখন অবশ্যই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এসময় মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর বার্তা দিয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, মাদকের বিষয়ে খুবই কঠোর বর্তমান পুলিশ। মাদকের সাথে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেলে সাধারণ আসামির মতো তাদের সাথেও একই আচরণ করা হবে। একই সাথে জড়িতদের ফৌজদারী মামলাসহ বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা খুলনা বিভাগে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। জীবননগর উথলীতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ডিআইজি বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখন এ ধরনের কাজ করে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনায় নেই। পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম দিনরাত কাজ করেছেন। তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। দুই একদিনের মধ্যেই এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার।
বিট পুলিশিং সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ৫ দিন হলো ঘটনাটি ঘটেছে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামতের সূত্র ধরে অনেক দূর এগিয়েছে পুলিশ। খুব শিঘ্রই অপরাধীদের গ্রেফতার করে সামনে নিয়ে আসা হবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ। ডিআইজি বলেন, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৫ দিন ধরে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম দিনরাত কাজ করেছে। তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। দু’একদিনের মধ্যেই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের মানুষের খুব কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে অপরাধ অনেকটা কমে এসেছে। সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শামসুল আবেদীন খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক। আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহ আলম সনি, আলমডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) কনক কুমার দাস, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর প্রমুখ। এর আগে জেলা পুলিশের বাৎসরিক পরিদর্শন করেন তিনি। প্রথমে তিনি পুলিশ লাইনে দৃষ্টিনন্দন ও মনোজ্ঞ প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে বিট পুলিশিং সমাবেশে যোগদান করেন ডিআইজি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More