ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়কেন্দ্রিক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে হাওড় ও নদীরক্ষা আন্দোলন আয়োজনে এ গণসমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে হাওড় ও নদীরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি ওবায়দুল হক মিলন বলেন, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে লুট করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ লুট প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে। প্রশাসন এতদিন নীরব ছিল কেন? পর্যটকদের অপার সম্ভাবনা আজ হারিয়ে গেছে। এত এত পাথর প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে লুট হয়? লুট হওয়ার পর পাথর ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যে পাথরগুলো বিক্রি হয়েছে তার কী হবে? রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের লোকজন লুটের সঙ্গে জড়িত। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
টাঙ্গুয়ার হাওড় আজ অব্যবস্থাপনায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাখিরা নেই, মাছের বদলে মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। প্রাণ প্রকৃতি ফিরিয়ে আনতে হলে হাওড়কে ঘিরে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি একে আবু নাসার বলেন, সাদাপাথর লুট মানে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করা। রাজনৈতিক ঐকমত্যে লুট হওয়া পাথরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করতে হবে। সাদাপাথরের প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী ষড়যন্ত্রে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত। এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
হাওড় ও নদীরক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মানবাধিকার কর্মী রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- জনউদ্যোগের আহ্বায়ক রামেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সভাপতি একেএম আবু নাছার, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর পত্রিকার সম্পাদক পংকজ কান্তি দে, জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল হক, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম মজনু, অ্যাডভোকেটের দীপঙ্কর বনিক, জামালগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার আহমদ উসমান, ছাতক উপজেলার উজ্জীবক সুজন তালুকদার, রকিব রুবাইয়্যাত, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শফিউল আলম প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.