সিঁড়ির রেলিংয়ের ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ: দুই আসামির ফাঁসি

চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় ভবনের সিঁড়ির রেলিংয়ের এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নিশাদুজ্জামান মঙ্গলবার এই রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া দুজন হলেন- তানভীর মোহাম্মদ সজীব ও মো. হৃদয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আহসান ওরফে ইয়াছিন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি এম এ এম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকায় ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকার শাহীন শাহ টাওয়ারের পাশে বুলু মাঝির মায়ের ত্রিপল ঘেরা ঘরে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করতেন মাহফুজুর রহমান এবং তার বাবা আব্দুর রহমান। মাহফুজুর রাতে ওই দোকানেই থাকতেন।

২০২০ সালের ১ মে রাত সাড়ে ৯টায় দোকানে ছেলেকে খাবার দিয়ে বাসায় যান আব্দুর রহমান। পরদিন সকালে দোকানের পাশের একটি ভবনের সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মাহফুজুরের লাশ পাওয়া যায়।

মাহফুজুরের হাত-পা ছিল বাঁধা, মুখে কাপড় ও পলিথিন গুঁজে বায়ুরোধী টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। গলায় ফাঁসের মত আটকানো ছিল নাইলনের রশি।

পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর মাহফুজুরের বাবা আব্দুর রহমান অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, মাহফুজুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ‘আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে’ তার গলায় নাইলনের রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ওই ভবনের সিঁড়ির গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More