সেই ৮ কিশোর শ্যোন অ্যারেস্ট : চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যা মামলা

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন কিশোর হত্যা ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় অংশ নেয়া সেই ৮ কিশোর অপরাধীকে আদালতের নির্দেশে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ। রোববার ও সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও চাঁচড়া ফাঁড়ির পরিদর্শক রকিবুজ্জামান। শুনানি শেষে আদালত আটজনের শ্যোন অ্যারেস্টের অনুমতি দিয়েছেন। এরা হলো গাইবান্ধার খালিদুর রহমান তুহিন, নাটোরের হুমাইদ হোসেন ও মোহাম্মদ আলী, পাবনার ইমরান হোসেন ও মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর পলাশ ওরফে শিমুল ওরফে পলান, কুড়িগ্রামের রিফাত আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার আনিছুজ্জামান। এছাড়াও পাঁচ সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আরও চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার সমাজসেবা অধিদফতরের অফিস আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃতরা হলেন- কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম, সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক। সোমবার সমাজসেবা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে চার কর্মকর্তার বরখাস্তাদেশের চিঠি আপলোড করা হয়েছে। এর আগে ১৪ আগস্ট কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আবদুল্যা আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর ‘বন্দিদের’ অমানুষিক মারপিট করা হলে তিন কিশোর নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়।

পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আবদুল্যা আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে পাঁচ দিনের ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল সোমবার মুশফিকুর রহমান এবং ওমর ফারুকের রিমান্ড শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুইজনকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান। তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, আদালতে রোববার ৭জন ও সোমবার একজনের শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর ওই আটজনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তিন কিশোর খুনের মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি আরও জানান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের দু কর্মকর্তার রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হয় সোমবার। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর বন্দিদের অমানুষিক মারপিট করা হলে তিন কিশোর নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

শুনানি শেষে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আবদুল্যা আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে পাঁচ দিনের ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার মুশফিকুর রহমান এবং ওমর ফারুকের রিমান্ড শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুইজনকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More