হেফাজতের অভিযোগ গণগ্রেফতার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন না

স্টাফ রিপোর্র্টার: গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করলেও গ্রেফতার বন্ধের ব্যাপারে তাদের কোনো আশ্বাস দেননি। পাশাপাশি নির্দিষ্ট মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানান। গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে হেফাজতের অন্তত ১০ জন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধানমন্ডির বাসায় ঢোকেন। রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা বেরিয়ে আসেন।
হেফাজত নেতারা কেন দেখা করেতে এসেছেন? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কিছুই জানি না। হঠাৎ করেই তারা বাসায় এসে হাজির হন। তারা দাবি জানান, হেফাজত নেতাদের যাতে গণগ্রেফতার না করা হয়। তবে আমি তাদের বলেছি, কোনো গণগ্রেফতার হচ্ছে না। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, ঠিক তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পাশপাশি করোনার কারণে বন্ধ কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে বৈঠকের বিষয়ে জানতে মাওলানা নুরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তার ছেলে মোর্শেদ জানান, বৈঠক শেষে এসে তার বাবা ঘুমিয়ে পড়েছেন। বৈঠকের বিষয়ে তাদের কিছুই অবহিত করেননি। তবে হেফাজতের প্রচার সম্পাদক ও মুখপাত্র জাকারিয়া নোমান ফয়জী বলেন, ‘ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্যই মহাসচিব মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এ বিষয়ে তাদের অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য নেই।
এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে হেফাজতের অন্তত দশ জন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধানমন্ডির বাসায় গেছেন বলে জানা গেছে। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, হেফাজত মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী, মামুনুল হকের ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ। এসময় এসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More