১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার: ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ আর সরকারি এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। অটো গ্যাসের লিটারপ্রতি ৪৭.৯২ টাকা দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ দর গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে। এলপিজি আমদানিকারকরা বলছেন, এলপিজি খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকার যে বিনিয়োগ রয়েছে এ বিষয়টি পুরোপুরি দেখা হয়নি। গতকাল সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দাম নির্ধারণের এ ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী, বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব রুবিনা ফেরদৌসীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। প্রতি মাসের শুরুতে যখন সৌদি সিপির দাম পরিবর্তন হবে তখন কমিশন এলপিজির দাম পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে আদেশ দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি মাসে সৌদি আরামকো তাদের মূল্য সংশোধন করে। আরামকোর সঙ্গে মিল রেখে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশেও মাসে মাসে এলপিজির দাম পুননির্ধারণ হবে। মাসের নির্ধারিত সময়ে বিইআরসি তা জানিয়ে দেবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বেসরকারি এলপিজি মজুদ ও বোতলজাতকরণ কোম্পানিগুলো ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা, মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা পুননির্ধারণ করেছে। সে হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজির বোতলের মূল্য হবে মূসকসহ ৯৭৫ টাকা।’ অটো গ্যাসের আদেশে বলা হয়েছে, মার্চের সৌদি সিপি অনুযায়ী যথাক্রমে প্রোপেন বিউটেন দর ৬২৫ ও ৫৯৫ ডলার। ৮৪.৮০ টাকা ডলার মূল্য বিবেচনায় অটো গ্যাসের ভিত্তিমূল্য (লিটার) ২৮.৫২ টাকা, এর সঙ্গে জাহাজ ভাড়া ৪.৪৮, অন্যান্য চার্জ .৩০, মজুদকরণ চার্জ ২.৬৩, মূসক ২.৭৪, পরিবহন চার্জ ১.২৫ ও স্টেশন চার্জ ৮ টাকা বিবেচনায় ৪৭.৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এলপিজির নতুন এ মূল্যহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বিইআরসি। এলপিজির দাম নির্ধারণের বিষয়টি এলপিজি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে দেখছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কোম্পানির হেড অব ডিভিশন (সেলস) প্রকৌশলী জাকারিয়া জালাল বলেন, ‘এটি যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত তাই এ সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই এ সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে। কিন্তু এলপিজি খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকার যে বিনিয়োগ রয়েছে এ বিষয়টি পুরোপুরি দেখা হয়নি। এ বিষয়টির জন্য আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা কমিশনকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাব। পরে এলপিজির দাম নির্ধারণের সঙ্গে আমাদের যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো যেন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More