দৌলতদিয়ায় উপচে পড়া ভীড় : যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

স্টাফ রিপোর্টার: ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শ্রমজীবী মানুষ। এতে করে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে কর্মস্থলমুখী মানুষের উপচে পড়া ভীড় এবং যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও নদী পার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যায়নি। ঈদের আগে-পরে ৭দিন পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর শুরু হওয়ায় এবং একই সাথে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই যানবাহন আসতে শুরু করায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি রয়েছে শতশত ব্যক্তিগত গাড়ী। তবে ব্যক্তিগত গাড়ী, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য জরুরী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে। সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গণ-পরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে মানুষের মধ্যে কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও কোন সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন সুযোগ ছিলো না। এতে শঙ্কা রয়েছে নতুন করে ব্যাপক আকারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার। নারী-পুরুষ এবং শিশুরা রয়েছে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ঈদের ছুটি শেষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কর্মমুখী যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য এ রুটে ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে তীব্র ¯্রােতের কারণে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হবার কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকা পড়ার ঘটনা ঘটছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আমরা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করার চেষ্টা করছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More