স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি : পালিয়ে ফিরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা 

যশোরের অভয়নগর ইছামতি গ্রামের উজ্জ্বল শিকদার তার নিজের স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি করেছে। এ অভিযোগ তুলে উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে যশোরে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা করা হয়েছে। তার স্ত্রী কৌশলে ফিরে এ মামলা করেন।
মামলার বাদী ওই নারী জানান, ২০১২ সালের ২০ মার্চ অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মালেক শিকদারের ছেলে উজ্জ্বল শিকদারের সাথে তার বিয়ে হয়। উপার্জন বাড়াতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ও উজ্জ্বলকে ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ আমার স্বামী উজ্জ্বল শিকদার আমাকে ফুঁসলিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল পোর্ট বন্দর দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। প্রায় দুই বছর ভারতের রাজস্থান এলাকায় থাকার পর ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল আমাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালুরু শহরে চলে আসে। ওই দিন বাঙ্গালুরুর অসকোট পতিতালয়ে আমাকে বিক্রি করে সে পালিয়ে যায়।
ওই নারী বলেন, দীর্ঘ ২৩ দিন পতিতালয়ে মানবেতর জীবন-যাপন শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পতিতালয়ের এক দারোয়ানের সহযোগিতায় চোরাই পথে বেনাপোল হলে দেশে ফিরে আসি। উজ্জ্বল ও তার ভাই আমার মতো অনেক মেয়েকে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করে বিদেশে পাচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। স্বর্ণালংকার ও জোরপূর্বক আদায় করা টাকা ফিরে পাওয়াসহ প্রতারক ও পাচারকারী স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহামুদুর রহমান মোল্যা জানান, বর্তমানে উজ্জ্বল শিকদার তার বাবা-মা ও ভাইদের নিয়ে ইছামতি বাজার সংলগ্ন পাগলের মেলা প্রাঙ্গণের পাশে পাকা বাড়ি করে বসবাস করছেন। প্রতিদিন তার বাড়িতে বহিরাগত অনেক নারী-পুরুষকে আনাগোনা করতে দেখা যায়। অভয়নগর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, যশোর আদালত কর্তৃক মানবপাচার অপরাধ ও দমন আইনের ২০১২ এর ৬/৭/৮ ধারায় মামলার আসামি উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More