ঢাকাকে হাসপাতাল বানালেও চিকিৎসার জায়গা হবে না -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, এভাবে বাড়তে থাকলে পুরো ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানানো হলেও মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত লকডাউন সবাইকে মেনে চলতে হবে। গত মঙ্গলবার বিকেলে মহাখালীর ‘ডিএনসিসি মার্কেটে ‘এক হাজার শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই মন্তব্য করেন।
এ সময় জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা করোনা টিকা নিয়েছেন, তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, যারা কক্সবাজার-বান্দরবান গেছেন এবং বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তারা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন। এখন তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত করছেন। সর্বোপরি সমাজকে করোনা সংক্রমিত করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগেও করোনা সংক্রমণের হার ৬০০-এর মধ্যে নেমে এসেছিল। মৃত্যুর হারও অনেক কমে গিয়েছিল। এখন মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১২ গুণ বেড়েছে। এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত লকডাউন সবাইকে মেনে চলতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এক বছর ধরে মহাখালী কাঁচাবাজারের ওই স্থাপনা ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করত। পাশাপাশি এই সেন্টারে বিদেশগামী মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হতো। এখন এই স্থাপনাটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। এখানে ২০০টির বেশি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হচ্ছে। একসঙ্গে এক হাজার ২০০’র বেশি মানুষ করোনা চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এপ্রিলের মাঝামাঝি ২৫০টি শয্যা এবং কিছু আইসিইউ শয্যা চালু করতে পারবো। এ মাসের শেষদিকে প্রায় পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করবে। এ হাসপাতালে শুধু করোনা চিকিৎসা দেয়া হবে। এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। কারও অপারেশন দরকার হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করানো হবে।’
মহাখালী কাঁচাবাজারের স্থাপনায় ওই হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে। এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা এ মার্কেটটি এতোদিন করোনার আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন করোনা হাসপাতাল চালু হলে বিদেশগামীদের জন্য এক পাশে পৃথকভাবে জায়গা রাখা হবে। হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। এ হাসপাতাল পরিচালনায় ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ সেবিকা, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More