বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন বলেছেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তার দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থেকে তিনি ভুল করেছেন। সমালোচনার জবাবে মুখ বুজে থাকলেও তার ভুল অর্থ করা হতে পারে বলে জানান এ অভিনেতা।
তিনি বলেন, কোনো এক গুণীজন বলেছিলেন— লোকের কথায় কান দিতে নেই। চোখ-কান বুজে নিজের কাজটা ঠিক করে করলেই সব সমালোচনার জবাব দেওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি যে ততটা সহজ নয়, তা নিজের জীবনে ঠেকে শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক বচ্চন।
অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে বিগত এক বছর ধরে নানা গুজব রটেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও তার জবাবে এ দম্পতি কখনো মুখ খোলেননি। হয়তো তারা ভেবেছিলেন, চুপ করে থাকাটাই সমস্যার সেরা সমাধান। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই রণকৌশল সফল হয়নি। দিনের পর দিন নতুন নতুন গুজব ছড়িয়েছে। শেষে কিছুটা তিতিবিরক্ত হয়েই ওই উপলব্ধি হয়েছে অভিষেকের।
এবার নীরবতা ভেঙে অভিনেতা বলেন, মুখ বুজে থাকলেও তোমার হাবভাব, অঙ্গভঙ্গির নানা রকম অর্থ করা হতে পারে। আর যারা সমালোচক, তারা তা করতেই থাকবেন। কারণ আড়ালে থেকে লোকের নিন্দা করা সহজ। কিন্তু যার সম্পর্কে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তার জীবনটা তুমি দেখনি, তুমি বুঝবে না, প্রতিটা শব্দ তার ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে।
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই আলোচনা করতে বেশি পছন্দ করেন। অধিকাংশ মানুষ তা উপভোগও করেন। তবে সমালোচনার শিকার একা তারকারা নন, একজন অতিসাধারণ মানুষও নানাভাবে, নানাকারণে ক্ষতিকর সমালোচনা বা গুজবের শিকার হয়ে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে বা দৈনন্দিন জীবনে দলবাজি, ধূর্ত রাজনীতির জেরে অপপ্রচারের শিকার হলে কি অভিষেকের পরামর্শ মেনে পাল্টা প্রতিবাদ করবেন? না কি পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মন দেওয়া উচিত?—এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ। তিনি বলেন, গুজব বা সমালোচনা বা অপপ্রচারের ধরন কী রকম, সেই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তার ওপর নির্ভর করবে।
মোহিত বলেন, কিছু গুজব বা অপপ্রচার এমন হয়, যা বেশি মাত্রায় ছড়ালে তার ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতি আটকাতেই ভুল ভাঙানো জরুরি। কিন্তু যদি কেউ মনে করেন, গুজব ও সমালোচনা বা অপপ্রচারে তার কিছু আসবে যাবে না, তবে তা নিয়ে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া না দেওয়াই ভালো। কারণ অনেক ক্ষেত্রে নীরবতাই অনেক কিছু বলে যায়। অবশ্য সব ক্ষেত্রে নীরবতা কার্যকরী না-ও হতে পারে বলে জানান মোহিত রণদীপ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.