বলিউডে পা রেখেই যে ‘অনুভূতি’ ব্যক্ত করলেন শানায়া

নানা গুঞ্জনের পর অবশেষে বড়পর্দায় পা রাখতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর ও মাহিপ কাপুরের কন্যা শানায়া কাপুর। তার প্রথম সিনেমা ‘আঁখো কী গুস্তাখিয়াঁ’। এ সিনেমার মাধ্যমেই অভিষেক হচ্ছে শানায়ার। এ রোমান্টিক ঘরানার সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ জুলাই। আর এ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন বিশাল মিশ্র।

সন্তোষ সিং পরিচালিত রোমান্টিক এ সিনেমাটিতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘আঁখো কী গুস্তাখিয়াঁ’ সিনেমার ট্রেলার। এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘আঁখো কী গুস্তাখিয়াঁ’ সিনেমার ট্রেলারে শানায়া কাপুর ও বিক্রান্ত ম্যাসির রসায়ন ইতোমধ্যে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে বিক্রান্তকে পুরোপুরি রোমান্টিক চরিত্রে দেখে মুগ্ধ সিনেমাপ্রেমীরা। অন্যদিকে শানায়া সিনেমাটিতে এক নাট্যশিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাকে চোখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় দেখা যাবে। আর বিক্রান্ত হয়েছেন এক অন্ধ সংগীত পরিচালক।

এমন চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে শানায়া বলেন, আমরা একে অপরের সঙ্গে অনুভব আর আস্থার মাধ্যমে সংযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। না দেখে শুধু অনুভূতির সাহায্যে অভিনয় করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রথম দিন থেকেই আমাদের মধ্যে সহজাত এক বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

শানায়া বলেন, ছোটবেলা থেকে প্রতি সপ্তাহে সিনেমা হলে গিয়ে পেছনের আসনে বসে সিনেমা দেখতাম। এখন নিজেই বড়পর্দায় আসতে যাচ্ছি—এটি এক অন্য রকম অনুভূতি। এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। সবকিছুর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

অভিনেত্রী বলেন, এই সিনেমার গল্প আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। আমি যখন কোনো চিত্রনাট্য পড়ি, একজন দর্শক হিসেবে পড়ি। তখনই কাহিনির সঙ্গে একাত্ম হতে পারি কিনা, বুঝি। এ সিনেমার গল্প সত্যিই অসাধারণ। এ কাজের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখেছি।

সামাজিক মাধ্যমের প্রসঙ্গ টেনে শানায়া কাপুর বলেন, আমি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধি, যেখানে সবাইকে খুব সহজেই বিচার করা হয়। কিন্তু এ সিনেমা আপনাকে শিখিয়ে দেবে—অন্যকে না জেনে বিচার করা ঠিক নয়। কাউকে চোখ দিয়ে নয়, মন দিয়ে অনুভব করতে হয়, ভালোবাসতে হয়। তিনি বলেন, সাবা আমার চরিত্রের নাম। সে-ই আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু।

এদিকে ‘আঁখো কী গুস্তাখিয়াঁ’ সিনেমা প্রসঙ্গে অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, আমি চেষ্টা করি প্রতিটি কাজেই নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলতে। এ সিনেমার গল্প তিন বছর আগে আমার কাছে এসেছিল। তখনই মনে হয়েছিল, এই গল্প বলার প্রয়োজন আছে। সত্যি বলতে, আমি এখন বেশ নার্ভাস। নিজেকে নবাগত বলেই মনে হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More