আলমডাঙ্গার হারদীতে স্বামী প্রবাসে যাওয়ার ৩ বছর পর পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন স্ত্রী

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: স্বামী প্রবাসে যাওয়ার ৩ বছর পর পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী শাহনাজ খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামে। প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ খাতুন দাবী করেছেন পুত্র সন্তানের বাবা আলমডাঙ্গা পশুহাটের স্বর্ণা মেডিসিন কর্ণারের মালিক কালিদাসপুর গ্রামের আব্দুল কাদের সবুজ। গত বৃস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী পুত্র সন্তান প্রসাব করলে তা মূহূর্তের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। নবজাতক শিশুটির মা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী বাগানপাড়ার শাহ আলমের মেয়ে শাহনাজ খাতুন। প্রায় ৩ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত আইজাল হোসেনের ছেলে প্রবাসী কালু ওরফে উন্জিলের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর কালু মালয়েশিয়া চলে যান। কালু বিদেশে যাওয়ার ৩ বছর পর তার স্ত্রী পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহনাজ খাতুনকে তার বোন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পরই শাহনাজ খাতুনকে রেখে বোন চলে যান। নবজাতক শিশুকে নিয়ে সে একাই হাসপাতালে রয়েছে। অন্যান্য রোগীর পোশাক ও খাবার খেয়ে দিনপার করছে নবজাতক শিশু ও তার মা। শাহনাজ খাতুন জানান, কালু প্রবাসে চলে যাওয়ার বছর খানে পর পরিচয় হয় উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ঝড়োর ছেলে আব্দুল কাদের সবুজের সাথে। সবুজ আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার লালব্রিজ সড়কের পশুহাটে স্বর্ণা মেডিসিন কর্ণার নামক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ওষুধের ব্যবসা করেন। তার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে তারা ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। একপর্যায়ে সবুজ গত বছর তাকে বিয়ে করেছে বলেও শাহনাজ খাতুন দাবি করেন। তিনি আরও জানান, তার গর্ভবতী হওয়া বিষয়টিও সবুজ জানে। সবুজ তাকে বলে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই তার সাথে কথা হয়েছে। শিশুটি জন্মগ্রহণ করার পর থেকে সবুজ অস্বীকার করতে শুরু করেছেন। এখন আর সবুজ কল রিসিভ করছে না। করলেও অন্য কেউ পরিচয় দিচ্ছে। শাহনাজ খাতুন আরও জানান, সবুজ আমাকে বিয়ের করেছে। এই ছেলের পিতা সবুজ। সে তাকে পশুহাটের ওষুধের দোকান থেকে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে করেছেন। এদিকে এলাকাবাসী জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে নবজাতকের মা সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি আসলে প্রতিবেশীদের রোষানলে পড়ে। তারা সন্তানের পিতৃ পরিচয় জানতে চাই ও এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। এলাকাবাসী আরও জানান, সন্তান প্রসবকারী নারীর ৩ বছর আগে স্বামী বিদেশে গিয়েছে। সে উৎশৃংখলভাবে চলা ফেরা করতো। নবজাতক শিশুকে নিয়ে ভূক্তভোগি মা পড়েছেন অথৈ সাগরে। কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More