স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটিতেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ছিলো নিরবচ্ছিন্ন। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে গেছেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে যখন দেশের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি, আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ, তখন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা, শিশু ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এছাড়াও, জরুরি পরিবার পরিকল্পনা সেবাও প্রদান করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের ঈদুল আজহার ছুটি ছিলো গত ৫ জুন থেকে টানা ১৪ জুন পর্যন্ত। ছুটির দিনেও চলমান ছিলো গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা ও কিশোর-কিশোরী সেবা। এছাড়া গ্রহীতার চাহিদা অনুসারে জরুরি পরিবার পরিকল্পনা সেবা চালু রাখা হয় কেন্দ্রগুলোতে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অন্তর্গত সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী সেবা নিয়েছেন ৬৩ জন, শিশু ১৯ জন, সাধারণ রোগী ৫৬ জন, ডেলিভারি ৪ জন, নবজাতক ৪ জন ও প্রসবোত্তর সেবা নিয়েছেন ৮ জন। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য অনেকেই কেন্দ্রে আসেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ছুটির মধ্যেও গর্ভকালীন সেবার সংখ্যা ছিলো ১৮জন, নরমাল ডেলিভারি ৮জন, প্রসবোত্তর সেবা ১০জন, নবজাতক সেবা ৮, জনসাধারণ রোগী ২২জন এবং শিশু সেবা ৭জন। এই উদ্যোগের ফলে জনসাধারণের মাঝে প্রশংসার জন্ম দিয়েছে এবং ছুটির মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা সচল রাখার এই প্রয়াস সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় বলে এলাকার অনেকেই মনে করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.