চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নানা অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ আবেদনকারীদের চাপিয়ে দেয়া হয় অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার শর্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে এসে হয়রানি ও অনিয়মের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। গতকাল সোমবার দুপুরে কয়েকজন নাগরিক লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, অফিসের ফ্রন্ট ডেস্ক থেকেই আবেদনকারীদের অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার শর্ত চাপিয়ে দেয়া হয়, যাতে তারা বাধ্য হয়ে দালাল বা বন্দোবস্তকারীর মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে পাসপোর্ট করতে রাজি হন। অভিযোগকারীদের দাবি, অবিবাহিত হলে ‘অবিবাহিত প্রত্যয়নপত্র’ এবং বিবাহিত হলে ‘কাবিননামা’ জমা দিতে বলা হচ্ছে। আবার কেউ পেশা হিসেবে ‘শ্রমিক’ উল্লেখ করলে তাকেও দিতে হচ্ছে প্রত্যয়নপত্র। অথচ এসব শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ায় বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু বন্দোবস্তকারীর মাধ্যমে আবেদন করলে এসব কাগজ ছাড়াই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে, তবে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে ২,২০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত। লিখিত অভিযোগে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জমা দেওয়ার কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়। পরে নিকটস্থ একটি কম্পিউটার দোকানে গেলে দোকানদার জানান, ২,৫০০ টাকা দিলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাজ হয়ে যাবে। একই অভিযোগ করেন মো. নিশান ইসলাম জানান, অফিসে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তার কাজ আটকে দেওয়া হয় এবং খারাপ আচরণ করা হয়। পরে কম্পিউটার দোকান থেকে তাকে জানানো হয়, ২,৫০০ টাকা দিলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন (ঙওউ-১০২৯৭১৭২৮৭) জমা দিলেও ইমেইল ঠিকানায় নিজের নাম না থাকায় অফিস তা ফেরত দেয়। কিন্তু একই ফাইল কম্পিউটার দোকান থেকে ২,২০০ টাকা দিয়ে জমা দিলে কোনো সমস্যা ছাড়াই তা গৃহীত হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে আরও জানা যায়, সোমবার দুপুরে এসব অনিয়ম নিয়ে আবেদনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অফিস প্রাঙ্গণে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, পাসপোর্ট অফিসে অনিয়ম বা হয়রানি কোন সুযোগ নেই, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোন কর্মকর্তা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More