মেহেরপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা : চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা

মেহেরপুর অফিস: গেলো ৬ মাস ধরে মেহেরপুরের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। আর ওষুধের অভাবে রোগীরা কমিউনিটি ক্লিনিক বিমুখ হচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। মেহেরপুর শ্যামপুর ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, দুই দিন ধরে এসে চিকিৎসা ও ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন মনোয়ারা খাতুন। জানা গেল নিয়মিত আসেন না দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা। এখানে এসে ওষুধ পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। অপরদিকে আলমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার কয়েকজন সেবা প্রার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছেন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নুরুন্নাহার। সেবাপ্রার্থীরা জানান, এখানে ছয় মাস ধরে কোন ওষুধ পাচ্ছেন না তারা। নষ্ট রয়েছে প্রেসার ও ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রগুলো। শুধু আলমপুর নয় মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ওষুধ সংকট। গেলো বছর ডিসেম্বরে সর্বশেষ ওষুধের বরাদ্দ পেলেও অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে তা শেষ হয়েছে দুই মাসের মধ্যেই। ফলে ওষুধ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা। বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা না পেয়ে অগত্যা বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর্থিক অসচ্ছলতায় চিকিৎসা না নিয়ে রোগে ভুগছেন অনেকে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৭ রকমের ওষুধ বরাদ্দ থাকলেও রয়েছে শুধুমাত্র গ্যাসের ও ভিটামিন জাতীয় ট্যাবলেটগুলো। ওষুধ না থাকায় অনেকেই সেবা নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসছেন না বলে জানাচ্ছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আঞ্জুমান আরা বলেন, যে সকল ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More