কুটুম সেজে নগদ টাকা ও সোনার গয়না চুরি করে ধরাপড়া চোর দীর্ঘদিনের প্রতারক

স্টাফ রিপোর্টার: চকচকে নতুন মডেলের মোটরসাইকেল। পরনে দামি পোশাক। চোখে সানগ্লাস। চেহারায় আভিজাত্যের ছোঁয়া। দেখে বোঝাই যাবে না, লোকটা সারাদিনই কুমতলবে ঘোরে। সুযোগ খোঁজে। কুটুম সেজে বাড়ি ঢুকে মূল্যবান মালামাল চোখের পলকে চুরি করে সটকে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার কুটুম সেজে চুরি করে পালানোর পথে ধরাপড়ে সে। তাকে পিটুনির পর পুলিশে দেয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহের হলিধানি আখ সেন্টারপাড়ার এক ফল ব্যবসায়ীর বাড়ি ঢুকে কুটুম সেজে সোনার গয়না চুরি করে পালানোর সময় ধরাপড়া এই ভদ্র ছদ্মবেশে ঘোরা ব্যক্তির নাম আলামিন। বয়স আনুমানিক ৩৮। বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ি সংলগ্ন রামনগরের সরদারপাড়ায়। ইলিয়াস হোসেনের ছেলে আলামিন সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে এলাকাবাসী বলেছে, এইচএসসি পাশ করেছে। চকলেট ফেরি করা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও প্রতারণা করে মানুষের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়ে দাঁড়ায় ওর পেশা। যদিও এলাকার অনেকেই জানে, আলামিন স্বর্ণকারবারি। তবে এলাকায় তেমন চুরি চামারি না করলেও দূর দূরান্তে আত্মীয় সেজে বাড়ি ঢুকে চুরি করায় সিদ্ধহস্ত সে। বেশ ক’বার ধরাও পড়েছে। মামালাও হয়েছে। মেহেরপুর, আলমডাঙ্গা, ঝিকরগাছাসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। নতুন করে মামলা হলো ঝিনাইদহ থানায়।
আলামিন নিজ এলাকার মানুষের সাথে খুব একটা মেলা মেশা করে না। বহিরাগত কিছু লোক তার সাথে আসা যাওয়া করে। মাঝে মধ্যে ভালাইপুর মোড়, গোকুলখালীতে দেখা গেলেও হাতখরচের ধরণ দেখে অনেকেই ভাবে, আয় ইনকাম ভালোই করে। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সচিত্র প্রতিবেদন পড়ে অনেকেরই ভুল ভেঙেছে। তারা বলেছে, চেহারা ছুরত সৃষ্টি কর্তা ভালোই দিয়েছে। কথাবার্তাও বেশ গুছিয়ে বলে। বাড়িতে স্ত্রী সন্তানও রয়েছে। অথচ প্রতারণা ছাড়েনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের হলিধানী আখ সেন্টারপাড়ার ফলব্যাবসায়ী আজিজুলের বাড়িতে যায় আলামিন। মোটরসাইকেল বাড়ির বাইরে রেখে বাড়িতে কেউ আছেন কিনা জানতে চান। পুরুষ মানুষ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আজিজুলের স্ত্রীকে বলেন, আমি চাচাকে দাওয়াত দিতে এসেছে। আপনারা আমাদের আত্মীয়। এসব কথা শুনে আজিজুলের স্ত্রী ঘরে বসতে দেন। সুযোগ বুঝে আলামিন নগদ টাকা ও সোনার গয়না চুরি করে সটকে পড়ার চেষ্টা করে। আজিজুলের স্ত্রী বিষয়টি বুঝে চিৎকার শুরু করেন। হলিধানী বাজারের লোকজন ছুটে গিয়ে আলামিনকে হাতে নাতে ধরে পিটুনি দিতে শুরু করে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More