ইসরাইলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) খোদ ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
আল জাজিরা বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করে প্রতিহত করেছে।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি অধিকৃত অঞ্চলের বাইরের একটি এলাকায় গিয়ে পড়েছিল।
যদিও ইয়েমেনি সেনাবাহিনী এখনো এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে বুধবার ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী দুটি ভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘হামলায় একটি ফিলিস্তিন-২ ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে ‘লাখ লাখ বসতিস্থাপনকারী’ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সারি আরও বলেন, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এবং তার দেশের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ইয়েমেনি বাহিনীর এ মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, ‘ইহুদিবাদী সরকার কখনও নিরাপত্তা ও শান্তিতে থাকতে পারবে না। এছাড়া আগামীতে ইয়েমেনি অভিযান আরও তীব্র হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.