মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১ ও ২-এ কর্মরত বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (একেপিএ)-এর ১৮ জন এনফোর্সমেন্ট অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। কথিত ‘পাল্টা ষড়যন্ত্র’ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার একেপিএস এর মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১ এবং টার্মিনাল ২-এ কর্মরত ছিলেন। তদন্তের ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কাউকে তিন দিনের, কাউকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানাবে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বিদেশিদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে অনুমতি দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল। এ ঘটনায় ১৮ জন অফিসারসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ১৯ জন পুরুষ ও আটজন মহিলা রয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ৩৪টি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং ১ মিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি মূল্যের ছয়টি কোম্পানির অ্যাকাউন্টসহ ৪০টি ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
আইন বিশেষজ্ঞ ড. রহমান ইসমাইল মনে করেন, এই গ্রেফতার মালয়েশিয়ার সীমান্ত ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা কাঠামো নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
তার মতে, যদি প্রমাণিত হয় যে কর্মকর্তারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত, তবে এটি কেবল দুর্নীতি নয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি। আদালতকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.