ইরানের নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউনিট ‘নাসির’ ও ‘গাদির’ নৌ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘কাদের’ মাঝারি-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সমুদ্র পৃষ্ঠতলের লক্ষ্যবস্তুগুলোকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
ইরানি সেনা-নৌবাহিনীর ‘ইকতেদার ১৪০৪ (২০২৫)’ বা ‘টেকসই কর্তৃত্ব ১৪০৪’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার মূল পর্যায় অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন পাল্লার নৌ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উপকূল ও নৌবাহিনীর জাহাজের ডেক থেকে নিক্ষেপ করা হয় এবং সেগুলো সফলভাবে ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশ ও ওমান সাগরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ নৌ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। খবর বার্তা সংস্থা মেহের-এর।
এ ধাপের মহড়ায় নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ‘জেনাভেহ’ এবং ডেস্ট্রয়ার ‘সাবালান’ একসঙ্গে ‘নাসির’, ‘গাদির’ ও ‘কাদের’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সমুদ্রে নির্ধারিত পৃষ্ঠতলের লক্ষ্যবস্তুকে সফলভাবে ধ্বংস করে।
‘কাদের’ নৌ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র একটি মাঝারি-পাল্লার স্টেলথ অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যার রয়েছে উচ্চ ধ্বংসক্ষমতা ও নির্ভুল লক্ষ্যভেদী ক্ষমতা। এটি জাহাজ ও উপকূলীয় লক্ষ্যবস্তু মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয়।
আর ‘গাদির’ নৌ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি রাডার এড়িয়ে যেতে সক্ষম অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যার রয়েছে উচ্চ ধ্বংসক্ষমতা ও নির্ভুলতা। এটি শত্রুপক্ষের জাহাজ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে ‘নাসির’ নৌ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র একটি স্বল্প-পাল্লার, রাডার এড়িয়ে যেতে সক্ষম অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যার রয়েছে উচ্চ ধ্বংসক্ষমতা ও লক্ষ্যভেদী নির্ভুলতা। এটিও জাহাজ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয়।
ইরানি নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার তাদের ‘কর্তৃত্ব ১৪০৪’ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার কার্যকরী ধাপ শুরু করেছে, যা ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশ ও ওমান সাগরে দুই দিনব্যাপী চলবে।
এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে—
নৌবাহিনীর পৃষ্ঠতল ও পানির নিচের জাহাজ,
আকাশ ইউনিট,
উপকূল-থেকে-সমুদ্র ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি,
সমুদ্রভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি,
এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ইউনিট।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.