করোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে যা করা দরকার 

করোনা ভাইরাস ভয়াবহ ছোঁয়াচে। ছড়াচ্ছে দ্রুত। সংক্রমণ রোধে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তব অবস্থা হতাশার। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দিলে কেউ কেউ ছুটছেন করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা দিতে। অনেকে সেদিকে না গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যেই জীবনের প্রয়োজনে চলছে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছেন, বাইরের কাজকর্ম সারার চেষ্টা করছেন। ফলে অন্যের সংস্পর্শও অনিবার্য হয়ে উঠছে। সংস্পর্ষে যেতে হচ্ছে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ না থাকায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কীনা তা বুঝতে পারা কঠিন হয়ে পড়ে । বাইরে বের হলে মুখাবারণ বা মাস্ক পরা কিংবা আরেকজন থেকে ৬ ফুট দুরত্ব বজায় রাখার কথা এখন কমবেশি সবাই জানেন। আপনি হয়তো সেটা মেনেও চলছেন। কিন্তু এমন যদি হয় আপনি হয়তো দুদিন আগে কারও সঙ্গে দেখা করেছেন কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন হঠাৎ করেই জানতে পারলে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত, তখন কী করবেন? এমন হলে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভয় পাওয়া কিংবা আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। বরং কীভাবে ভাইরাসটি প্রতিরোধ করবেন সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
করোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে যা করণীয়-
কোয়ারেন্টাইনে থাকা : প্রথমেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। করোনার উপসর্গ প্রকাশ পেতে সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিন লাগে। এ কারণে এ সময়টা বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা থাকুন। এ সময় বাড়ির বাইরে যাবেন না কিংবা পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসবেন না। যদি আপনি একা থাকেন তাহলে বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দরজায় পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করুন। বাড়িতে বাইরে থেকে আগত সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করুন।
লক্ষণসমূহ খেয়াল করুন : আপনার শরীরে করোনার কোন লক্ষণ যেমন- জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি, স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, সর্দি, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া, মাংসপেশিতে ব্যাথা এসব দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
করোনার পরীক্ষা : উপসর্গ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে যান। নমুনা দিন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ দিন পর নমুনা পরীক্ষা করাতে পারেন। ফল আসার আগ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনেই থাকুন। যদি ফল পজিটিভ তাহলে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আইসোশনে থাকবেন। তবে যদি আপনার ফল নেগেটিভ আসে এবং করোনার কোন লক্ষণ দেখা না যায় তাহলে ১৪ দিন পর কোয়ারেন্টাইন শেষে বের হয়ে আসতে পারেন।
অন্যকে জানান : আপনার মধ্যে যদি করোনার কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় বা পরীক্ষা নাও করে থাকেন, তবুও অন্যকে জানিয়ে দেওয়া জরুরি যে আপনি সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। কারণ আপনি যদি সংক্রমিত হন তবে আপনার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। যদি আপনার মধ্যে আক্রান্তের কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় তবে অন্যদের পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More