অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক চেক ও মুচলেকা দিয়ে ৬ ঘণ্টা পর মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখল নিয়োগ প্রত্যাশী এক প্রার্থীর লোকজন। উৎকোচ নেয়া পাঁচ লাখ টাকা ফেরত প্রদানের মুচলেকা ও চেক দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক এর আগেও স্কুলে এভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক (পুরুষ) ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয়ার জন্য ইতঃপূর্বে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল গনির ছেলে রাশিদুল ইসলামকে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক (পুরুষ) পদে এবং প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিকের বড় ভাই ইউনুস আলীর পুত্রবধূ নুসরাত জাহান রিতাকে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত তারা পরীক্ষার আগেই চূড়ান্ত করে ফেলেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে কমিটি। এরই মধ্যে উৎকোচ নেয়ার বিষয়ে কানাকানি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
আবেদনকারী আলমডাঙ্গা উপজেলার জহুরুল নগর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান মিন্টু জানান, আমাকে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক আমার কাছ থেকে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। বুধবার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক আমার সাথে চালাকি করে পরীক্ষার তারিখটাও চিঠি দিয়ে আমাকে জানাননি।
সকাল ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিককে ডেকে নিয়ে তারা শহরের এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন আবেদনকারীর লোকজন। বেলা ৩টার দিকে ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে টাকা গ্রহণের স্বীকারোক্তিনামা ও ৫ লাখ টাকার চেক দিয়ে তিনি মুক্ত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিয়োগপ্রত্যাশী কামরুজ্জামান মিন্টু।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক চাকরি দেয়ার নামে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দয়া করে পত্রিকায় এসব লিখবেন না। আমি আপনার সাথে দেখা করবো।’ এ ব্যাপারে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক একজন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক। তাকে স্কুল থেকে বরখাস্তের দাবি জানান তারা।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More