আপন দুই ভাইসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গাংনীর করমদিতে কৃষক আবু বক্কর শাহ হত্যা মামলার রায়
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের আবু বক্কর শাহ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১০ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এসএম আব্দুস সালাম আদালতে ৮ আসামির উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত সাজাপ্রাপ্তরা হলো গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এনামুল হক, আবদুল লতিফের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, মিলু শাহার ছেলে আব্দুল বারী, চেঙ্গিস শাহার ছেলে রমজান শাহা, মিলু শাহার ছেলে মোহাম্মদ শাহা, তৈয়্যব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম পঁচা, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলতাফ হোসেন ও আমজাদ শাহার ছেলে মিন্টু শাহা। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ২ আসামি হলো করমদি গ্রামের মৃত আলফাজ শাহার ছেলে হোসেন আলী শাহা ও মৃত মোহাম্মদ আলী শাহার ছেলে জাকির আলী শাহা।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৪ জুন গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কার শাহা সকাল ৭টার দিকে করমদি গ্রামের মাঠে ঘাস কাটছিলেন। ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বক্কর শাহার ওপর ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্র ও লোহার রডের আঘাতে বক্কর শাহা মারাত্মক আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত বক্কর শাহার ছেলে শাহাবুদ্দিন শাহা পরের দিন বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই শফিউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে একজন আসামি করমদি গ্রামের মৃত ফকির শাহার ছেলে আব্দুল লতিফ শাহা মারা যান। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক ৮জন আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাড. কামরুল হাসান ও অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম শফি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More