ইউপি নির্বাচন গাংনী ও মুজিবনগরের ৯টিতে নতুন মুখ : পুরোনোরা হতাশ

বর্তমান চেয়ারম্যানরা দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশ নেয়ার ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগরের নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে গত শনিবার বিকেলে গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়াদের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
দলীয় সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপিতে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি গোলজার হোসনে, বামন্দী ইউপিতে ওবায়দুর রহমান, মটমুড়া ইউপিতে আবুল হাশেম বিশ্বাস, তেতুলবাড়িয়া ইউপিতে আবদুল্লাহ আল মামুন, সাহারবাটি ইউপিতে মশিউর রহমান, মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউপিতে মো. মোস্তাকিম, মোনাখালী ইউপিতে রফিকুল ইসলাম, বাগোয়ান ইউপিতে কুতুব উদ্দীন, মহজনপুর ইউপিতে রেজাউর রহমানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বর্তমান সাত চেয়ারম্যানের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের পদে থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিলো। এসব আমলনামার কারণে সভানেত্রী একেবারে নতুন মুখ এনেছেন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পাঁচজন চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হন। বাকি একটিতে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হন। আগামী ১১ নভেম্বর এই উপজেলার নয়টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নয়জন নেতাকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানরা দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এবার যারা দলীয় মনোনয়ন পাননি, তারা হলো গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, মুজিবনগর উপজেলার মহজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোনখালি ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌফিকুল বারী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, এবারের মনোনয়ন নেত্রী নিজে দেখে বিবেচনা করে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য যারা নিবেদিতপ্রাণ, ঠিক তাদের মনোনীত করা হয়েছে। এবারে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন, তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More