এবারের পরীক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গার ১১ হাজার ৬৭০ ও মেহেরপুরের ৮ হাজার ৭৭৮ জন

সারাদেশের ২৯১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : এবারও হচ্ছে না জেএসসি ও জেডিসি

স্টাফ রিপোর্টার: আজ থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। চুয়াডাঙ্গার ১১ হাজার ৬৭০ জন ও মেহেরপুরের ৮ হাজার ৭৭৮ জন শিক্ষার্থীসহ সারা দেশে এবার অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গার ১৭টি কেন্দ্রে এবং মেহেরপুরের ১৩টি অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। আজ সকাল ১০টায় বিজ্ঞান শাখার পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। শেষ হবে ২৩ নভেম্বর।
এবার সারাদেশের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জনের মধ্যে যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। দেশের অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের মতো আজ রোববার থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ডেও এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ৯২ হাজার ৪৪২ জন ছাত্র এবং ৮৮ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯১টি কেন্দ্রে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, এবার নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে এক লাখ ৫৭ হাজার ১৬৫ জন ও অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ২৩ হাজার ৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার খাতা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়াসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত এবং পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো নকলমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ১৭টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ১১ হাজার ৬৭০ জন পরীক্ষার্থী ও মেহেরপুরের ১৩টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ৮ হাজার ৭৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া যশোর জেলার ৫২ কেন্দ্রে অংশ নেবে ৩০ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী। খুলনা জেলায় ৫৮টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ২৭ হাজার ২১৮ জন পরীক্ষার্থী। বাগেরহাটের ২৭ কেন্দ্রে অংশ নেবে ১৯ হাজার ৫৩১ জন পরীক্ষার্থী। সাতক্ষীরার ২৭ কেন্দ্রে অংশ নেবে ১৯ হাজার ৫৩১ পরীক্ষার্থী। কুষ্টিয়ার ৩০ কেন্দ্রে অংশ নেবে ২৫ হাজার ২৫১ জন পরীক্ষার্থী। নড়াইলের ১৪টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ৯ হাজার ৭৯৭ জন পরীক্ষার্থী। ঝিনাইদহের ৩৬ কেন্দ্রে অংশ নেবে ২১ হাজার ৫২১ জন পরীক্ষার্থী এবং মাগুরার ১৭টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ১১ হাজার ৯৬০ জন পরীক্ষার্থী।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার পরের মাসে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এরপর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিয়ে আবার দেশে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া শুরু হচ্ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে করোনা সংক্রমণ এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। সে কারণে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ভিড় না করেন। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। আজ সকাল ১০টায় বিজ্ঞান শাখার পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। শেষ হবে ২৩ নভেম্বর। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। মোট দেড় ঘণ্টার পরীক্ষায় এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা হবে। সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত ওই সময়ে এই দুই পরীক্ষা নেয়া যায়নি। এখন ভিন্ন ব্যবস্থায় এসব পরীক্ষা হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
অন্যদিকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে গতবারের মতো এবারও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না। তবে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এ মাসের ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও হবে না। এমনকি পঞ্চম শ্রেণিসহ প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণির জন্য বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। ওয়ার্ক শিটসহ (বাড়ির কাজ) নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ওপরের শ্রেণিতে ওঠানোর ব্যবস্থা করবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More