কঠোর লকডাউনেও চুয়াডাঙ্গায় ফুটে উঠছে ঢিলে ঢালা ভাব

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীর সড়ক ফাঁকা থাকলেও দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে যানবাহনের আধিক্য দেখা গেছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় সকাল থেকেই সড়কগুলোতে অটোসহ বিভিন্ন অবৈধযানের অধিক্য বাড়তে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গায় মাঝারী মাত্রার দাবদহের মধ্যেও বাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্ত্বর এরাকায় জনসমাগম বেড়েই চলেছে।
লকডাউন চলাকালীন অতি জরুরি প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । বাইরে বের হতে হলে লাগবে পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’। মানুষের চলাচল কমাতে রয়েছে পুলিশের তৎপরতা। থাকল্ওে তাতে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। কেনো? চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে চলাচলকারী বেশ ক’জনের সাথে কথা বললে তাদের অধিকাংশেরই বক্তব্য ছিলো জরুরী প্রয়োজনেই বের হয়েছি। লকডাউন না হলেও দরকার না হলে এই রোদের মধ্যে কি কেউ বের হয়? অবশ্য করো কারো বক্তব্য রুটি রুজির জন্য বের হতেই হচ্ছে। ভাইরাস সম্পর্কে সকলেই সচেতন রয়েছেন বলে জানালেও অটো রিকশা, ইজিবাইকে ঠাসঠাসি করে বসে চলাচল কেনো জানতে চাইলে তাদের সোজা সাপ্টা জবাব, একটা অটোতে একা চড়লে ভাড়া গুনতে হচ্ছে অনেক। এমনিতেই আয় নেই, তার পর খরচ বেশি হলে চলবে কীভাবে? অনাহারের কষ্ট অনেক। তবে ব্যাঙ্কগুলোতে তেমন একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম লেন -দেন করেছে। চুয়াডাংঙ্গা নিচের বাজারে আনাজ কেনা কাটার ভিড় সকাল থেকে বেড়েছে। দুপুরে কিছুটা কমলেও বিকেলে বুধবারের মতো ভিড় বাড়তে পারে। দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাপা যন্ত্রের পারদ ৪০ পেরিয়ে গেছে। বাতাসে যেনো আগুনের হল্কা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More