করোনায় চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু : নতুন নমুনা সংগ্রহ ৬০

চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৫ : মোট সুস্থ ১ হাজার ২২

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় করোনার কাছে হার মেনে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন দামুড়হুদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আহাদ। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ দিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ এ মারা গেলেন ৩৫ জন।

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ শনিবার নতুন ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন ল্যাব থেকে কোনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩শ ৪৬ জনই রয়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২ জন। এ দিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শনিবার আরও ১জনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এ দিয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৭জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। একজন সুস্থ হয়ে ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন দামুড়হুদা দশমিপাড়ার বাসিন্দা উপজেলা শহরের সার তেল ব্যবসায়ী নূরুল আহাদ। স্বাস্থ্য বিভাগসূত্র জানিয়েছে, আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী নূরুল আহাদ বেশ কিছুদিন ধরে সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। ২৯ আগস্ট করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন ৩০ আগস্ট তার পরীক্ষার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। অবস্থার ক্রম অবনতি হলে নেয়া হয় ঢাকায়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এখবর ছড়িয়ে পড়লে দামুড়হুদায় পরিচিতিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঝণ্টু, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামাান মনির, সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, দামুড়হুদা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু পৃথক শোক বার্তায় মরুহমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন স্বস্তিদায়ক বলে মনে হলেও গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নমুনা দেয়ার জন্য ভীড় জমে। লম্বা লাইন সামলাতে হয়। সারাদিনে ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ২৪ জন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে। হোম আইসোলেশনে তথা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২শ ৬০ জন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More