করোনা ভাইরাসে চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজনের মৃত্যু : দু’দিনে আরও শনাক্ত ৫

সর্দি কাশি উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে : একদিনে নমুনা দিয়েছেন ৪৩ জন
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গার আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়ে ৪৭ জন, চুয়াডাঙ্গার বাইরে আক্রান্ত হয়ে ৫ জন মারা যান। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার আরও ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী তথা আইসোলেশনে রয়েছেন ৪০ জন। গতকাল আরও ৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৩ জনের নেগেটিভ হলেও বাকি ৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ। এদের মধ্যে একজন দামুড়হুদা উপজেলার, অপর দুজন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার। সদর উপজেলার দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় ও অপর জনের বাড়ির সিনেমাহলপাড়ায়। দামুড়হুদা উপজেলার যে একজন শনাক্ত হয়েছেন তিনি ফকিরপাড়ার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার দুজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ দুজনের বাড়িও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়। একজনের বাড়ি পিরপুর অপর জনের বাড়ি গাইদঘাটে। গতকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭১৪ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২২ জন। বর্তমানে আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রয়েছেন ৮ জন, বাড়িতে রয়েছেন ৩১ জন ও ঢাকায় রেফার্ড রয়েছেন একজন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা বেগম নামের আনুমানিক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। গতকাল ভোরে সদর হাসপাতালের রেডজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি খেজুরা গ্রামের আশরফুল হক জোয়ার্দ্দারের স্ত্রী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে (ইয়োলো) জোনে ভর্তি হন বৃদ্ধা। ২৭ মার্চ তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। পরদিন তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার লাশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগরের কর্চডাঙ্গা শ্মশানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শেষকৃত্য করা হয়েছে। তিনি ২২ মার্চ অসুস্থবোধ করায় পরিবারের সদস্যরা যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ রিপোট পাওয়া যায়। করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল বুধবার তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত. শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, দেশের অন্যান্য এলাকাতেও করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকারে সংক্রমিত হচ্ছে। বিশে^র অনেক দেশেই লকডাউন দিতে হয়েছে। বিশ^ মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এরপরও হাট বাজারে তেমন স্বাস্থ্যবিধি চলার নজির মিলছে না। ফলে ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More