কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত : ২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময়ে জেলায় দুজন করোনা রোগী মারা গেছেন। গতকাল রাত ১২টায় জেলা প্রশাসন থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নমুনা অনুপাতে জেলায় করোনা শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী। মঙ্গলবারও জেলায় ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৮২ শতাংশ। ওই দিন করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান। জেলায় নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৭ জন, কুমারখালীতে ১৫, ভেড়ামারায় ৫ ও মিরপুর উপজেলায় ৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। করোনায় সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজনের বাড়ি সদর উপজেলায়। জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় বর্তমানে ২৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রয়েছেন ৪০ রোগী। আর হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২৩৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ৫১ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৫ হাজার ৬৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১১৬ জন। শেষ ৫ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ১৩২ জন। এ সময়ে মারা গেছেন ৬ জন। ভারত সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় ১০ দিন ধরে করোনা রোগী বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছিলো। পরে মন্ত্রী পরিষদের সচিব জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির দুই ঘণ্টার সভা শেষে জানানো হয়, আপাতত লকডাউন নয়। তবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হবে। সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোড ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পরতে উদাসীন। বিশেষ করে সড়কের দুই পাশের দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে মাস্ক না পরার হার বেশি। ক্রেতাদেরও মাস্ক পরতে অনীহা। কেউ কেউ বলছেন, গরমে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা কষ্টের। তাই মাঝেমধ্যে খুলে রাখছেন। শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়, থানা মোড় ও বড় বাজার এলাকায় গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। জানতে চাইলে কুষ্টিয়া চেম্বারের সহসভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল বলেন, প্রতিটি সমিতির নেতাদের ও দোকানদারদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি সারা দিন মাইকে প্রচার করা হয়েছে। সবাই মাস্ক পরে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। যদি কেউ না করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলে তার দায় সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলায় কাজ করছেন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সচেতন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অর্থদ- করা হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More