স্টাফ রিপোর্টার:আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি আলাদা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানার আওতায় রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ বেশির ভাগই সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষ গুমের দুটি মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন, যা ট্রাইব্যুনাল অনুমোদন করে।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, একটি মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালকসহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
অন্য মামলায় একই সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছর ছাত্র–জনতার বিক্ষোভে ক্ষমতা হারানো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দেশের ইতিহাসে মানবতাবিরোধী গুম মামলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে যারা ক্ষমতাসীন থাকাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংস্থার আওতায় আনা হচ্ছে।
পাঠকদের জন্য এর গুরুত্ব হল, এটি দেশের ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা বহন করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও এই ধরনের বিচারকে নজর রাখবে।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই মামলা নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, রাষ্ট্রপক্ষের বিবৃতি, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.