স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সদর) আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ত্যাগী নেতা শরিফুজ্জামান শরীফকে দলের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নাম ঘোষণা করেন।
মনোনয়ন পাওয়ার খবরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তাৎক্ষণিক আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইলেও, প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরীফ সবাইকে সব ধরনের উদযাপন থেকে বিরত থাকার কঠোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
“এখন আমাদের কাজ আনন্দ করা নয়, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। এখন থেকে প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাঠে নামতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।”
শরীফ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটি আমার জীবনের সর্বোচ্চ গৌরব। এই আসনটি ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীদের সহায়তায় ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হয়ে তারেক রহমানের হাতে উপহার দেব।” তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এখন অনেক বেশি সংগঠিত ও প্রস্তুত।
মনোনয়নের পরপরই নির্বাচনী মাঠপর্যায়ের পুনর্গঠন কাজ শুরু হয়েছে। শরিফুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক টিম, প্রচার উপকমিটি ও তৃণমূল যোগাযোগ কমিটি গঠনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রোকনও একই সুরে বলেন, “কোনো আনন্দ উল্লাস নয়, মিষ্টি খাওয়া, আনন্দ মিছিল সব বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে। সমস্ত নেতাকর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বিজয়ের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আহ্বান করছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতা শরিফুজ্জামান শরীফের সাংগঠনিক দক্ষতা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপিকে শক্ত অবস্থানে রাখবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন,“এই নির্বাচন শুধু একটি আসনের প্রতিযোগিতা নয়, এটি গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।”
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.