চুয়াডাঙ্গার করোনা রোগীকে পাঠানো হলো ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে

বেগমপুর প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসা করোনা আক্রান্ত রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর বগুলাপাড়ার শহিদ উদ্দিনকে অবশেষে চিকিৎসার জন্য আবারও পাঠানো হলো ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সাথে পাঠানো হয়েছে ছেলে রাসেল আহম্মেদ অভিকে। সেই সাথে স্ত্রীর স্যাস্পুল সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর বগুলাপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে শহিদ উদ্দিন (৬৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। ঢাকা  থেকে গত ১৮ এপ্রিল ছেলে অভি কৌশলে তার বাবাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে এস। বিষয়টি এককান দু’কান করতে করতে জানাজানি হয়ে পড়ে। সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসতাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামীম কবির শহিদদের বাড়িতে আসেন এবং মঙ্গলবার ঢাকাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তারি ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মারুফ হাসান, আরএমও শামীম কবির, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাববুর রহমান, বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই আশরাফ, ইউপি সচিব আসাবুল হক মাসুদ তদারকি করে রোগীকে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠান। সেই সাথে রোগীর ছেলে রাসেল আহম্মেদ অভিকে সাথে পাঠান এবং স্ত্রীর স্যাস্পুল সংগ্রহ করেন।

এদিকে করোনার বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে প্রশ্ন উঠে শহিদের ছেলে নিজেকে একজন প্যারামেডিকেল ডাক্তার পরিচয় দিলেও কেন ঝুকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে গ্রামে আনলেন। এদিকে বেগমপুরে করোনা রোগীর খবর ছড়িয়ে পড়লে দর্শনা থানাপুলিশ এবং বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ছিলো গ্রাম লকডাউন, গ্রামের কর্মহীন মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে নিরাপদে রাখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তারি অংশ হিসাবে কর্মহীন মানুষের খাদ্যসহায়তা প্রদান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More