চুয়াডাঙ্গার খাসপাড়ায় চোরাই পথে ভারত থেকে আসা ৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার খাসপাড়ায় ভারত ফেরত ৬ জনকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের অ্যাম্বুলেন্স যোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে প্রশাসন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়া শিকদারপাড়ায় ভারত থেকে আসা ওই গ্রামের ফজলু ব্যাপারীর ছেলে শাকিল হোসেন, নুরু ব্যাপারীর ছেলে শাহজালাল ও তার স্ত্রী রাণী খাতুন তাদের আত্মীয় কুমিল্লার শফি প্রধানের ছেলে রবিন প্রধান সকলেই খাসপাড়া গ্রামে অবস্থান করছিলেন। গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে তাদের প্রশাসনের সহায়তায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। গ্রামের লোকজন জানান, তারা ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে এসে অবস্থান করছিলেন। গতকাল তারা হঠাৎ অবাধ বিচরণ করছিলেন। গতকাল শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কায় তারা প্রশাসনকে জানায়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত শুনে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে খাসপাড়ার গ্রামের আসাদ মেম্বার দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, ৪ ব্যক্তি ভারত থেকে অবৈধ পথে গ্রামে অবস্থান করেছিলেন। তারা সকলে ভারতে একটি বেকারিতে চাকরি করতেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে তারা গোপনে খাসপাড়া গ্রামে আসেন। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জনগণ ও প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়। গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু বলেন, ভারত থেকে আসা ৪ জনের খাসপাড়া গ্রামে অবস্থান করার খবরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। পরে আমি দ্রুত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করি। পরে উপজেলা প্রশাসন এসে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন প্রাথমিকভাবে আমরা তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More