চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ী

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার সাধারণ তাদের ভোটাধিকার যথযথভাবে প্রয়োগ করতে পেরে চুয়ডাঙ্গা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালটে গ্রহণ করা ভোটে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শুকুর আলী ৫ হাজার ৫শ ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীক প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩শ ৭৯ ভোট। অপর দু প্রার্থীর মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ২১৭ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শুকুর আলী নির্বাচত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. শুকুর আলী তার কর্মীদের সাথে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপির সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তিতুদহ ইউনিয়নে মোট ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা ১ ওয়ার্ডে প্রাথী ছিলেন ৫ জন। রওশনারা বেগম তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমেনা খাতুন হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬শ ২৮ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডের মোছা. চাম্পা বেগম মাইক প্রতীক ২ হাজার ৯শ ৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র অপর প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮শ ৯২ ভোট। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে মোছা. মুক্তিআরা বেগম মাইক প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ২শ ৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেহেনা খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১শ ৪৯ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বি উম্মে সালমা কাজলী হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১শ ৫ ভোট। সাধরণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন ৪জন। মুকুল হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাজমুল হুসাইন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট। সাধারণ সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিরুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে ৭৯৩ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ৩ নম্বর ওয়র্ডে আহাদ আলী মল্লিক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আলমগীর হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩২৫ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সামসুল আলম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মতিয়ার আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৩৭০ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাছেদ আলী টর্চলাইট প্রতীক নিয়ে ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাকারিয়া বিশ^াস মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শমসের আলী মোরগ প্রতীক নিয়ে ৬৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইলিয়াস হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬৪৪ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ৭নম্বর ওয়ার্ডে রিপন আলী লস্কর টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিলন মিয়া মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪২ ভোট। সাধারণ সদস্য পদে ৮নম্বর ওয়ার্ডের তাছলিমুজ্জামান ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫শ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুস সামাদ মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪৪৮ ভোট পেয়েছেন। অপরপ্রাথী গোলাম রসুল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৮ ভোট। সাধরণ সদস্য পদে ৯নম্বর ওয়ার্ডে কামাল উদ্দীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৭১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২২ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে ভোট পোল হয়েছে ১৩ হাজার ৫শ ৭১ ভোট। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৩২ ভোট। ১০টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে জানা গেছে, চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৬১২ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ৬৭৮ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১শ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ২৪ ভোট। গিরীশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫৪৪ ভোট, আনারস ৪৬৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীক ৫৮ ভোট, হাতপাখা ৮ ভোট। ৬২ আড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৪৯০ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ৪৩২ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ৯৮ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ৬ ভোট, ছোটশলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ৯শ ৬ ভোট, আনারস প্রতীক ৭৬১ ভোট, ঘোড়া প্রতীক ৩৩৩ ভোট, হাতপাখা প্রতীক ২৩ ভোট পেয়েছে। বলদিয়া সিদ্দিকিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫৮৭ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ৩শ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ৩১৯ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ৯২ ভোট। রাফাত হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বলদিয়া বিশ^াসপাড়া কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৩১৯ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ২৪২ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ৪৪৮ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ২৬ ভোট। বড়শলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫২৮ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ১০২ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১ হাজার ১৭ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ১১ ভোট। বড়শলুয়া উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৪৫৪ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ২০৪ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ৬৮৪ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ৭ ভোট। হুলিয়ামারি হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫৫৩ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ৫০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১১ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ১১ ভোট। তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৫৬৪ ভোট, আনারস প্রতীক পেয়েছে ৬৮৮ ভোট, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১৮ ভোট, হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ৯ ভোট।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রেই করা হয় গণনা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক হোসেনসহ অনেকে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More