চুয়াডাঙ্গাসহ ১৮ জেলায় আবারও শৈত্যপ্রবাহ : তাপমাত্রা আরও কমতে পারে

শৈত্যপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিক চলাচলসহ জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার: শীত আরও বেড়ে দেশের ১৮ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এ অবস্থায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করতে পারে, একই সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার পাবনা, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ ১১ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিলো। গতকাল বুধবার পুরো রাজশাহী বিভাগেই শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে কিছু কিছু অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো খেপুপাড়ায় ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা ও রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ ১৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত পারে বলেও জানান মনোয়ার হোসেন। তিনি আরও জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী দু-দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। মাঝে এক দিন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলেও গত দুইদিন ধরে নামতে শুরু করেছে। এ সময়ে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার সকাল ৯টায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, অস্থির এক আবহাওয়ার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রূপ বদল করছে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে রাত ৯টায় তা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি (প্রায় অর্ধেকে) সেলসিয়াসে নেমে যায়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘বুধবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আরেকটু নামলেই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেবে। ১৬ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিক চলাচলসহ জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লেনদেন অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেলা ১১টার আগে ক্রেতা ও গ্রাহকদের দেখা মিলছে না।

সরকারি ভিক্টোরিয়া জুবিলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল হোসেন বলেন, দুই পালায় পরিচালিত বিদ্যালয়ে সকালের শিফট শীতের কারণে সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৮টায় করা হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হলেও ওপরের শ্রেণিতে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী জানান, ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন গলি, নতুন বাজার, ফেরিঘাট রোড ও আলী হোসেন সুপার মার্কেটসহ শহরের বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে চরম মন্দাভাব চলছে। ফেরিঘাট রোডে মুদি পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওহিদ স্টোরের মালিক ওহিদ চিশতী বলেন, ‘শীতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য লুজার। বাজারে মানুষ তেমন আসছেও না, কিনাবেচাও হচ্চে না।’ বড় বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বেচাকিনা নেই বুললিই চলে। অ্যারাম অবস্থা চললি ব্যবসায়ীকদের পতে বসতি হবে।’

ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক খাতেও চরম মন্দাভাব চলছে। শীতের কারণে ব্যাংকগুলোতে কমেছে লেনদেন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, চুয়াডাঙ্গা শাখার প্রধান সহকারী মহাব্যবস্থাপক বশির আহম্মেদ জানান, ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেন কমে গেছে। দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক প্রায় ফাঁকা থাকছে। বেতন-ভাতার টাকা উত্তোলনসহ সরকারের বিভিন্ন খাতে লেনদেনকারীরা আসছেন। তবে, দেরিতে। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, চুয়াডাঙ্গা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক জগলুল পাশা বলেন, শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ার পর গ্রাহকদের উপস্থিতি ও লেনদেন ২০ শতাংশ কমে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ পথে চলাচলকারী বাসগুলোতে যাত্রী চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দীন বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাজার পর্যন্ত চলাচলকারী বাসগুলো একবার আসা-যাওয়া করলে খরচ ২ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু, শীতের কারণে সকাল থেকে বেলা ৮টা পর্যন্ত চলাচলকারী বাসগুলোর আয় প্রতি ট্রিপে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। পরিবহন মালিকেরা জেনেশুনেই প্রতিদিন লোকসান গুনছেন।

ঢাকাসহ দূরপাল্লার পথে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মল্লিক বলেন, যদিও ঢাকায় যাওয়ার পথে কিছু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, ঢাকা থেকে ফেরার পথে দুই থেকে পাঁচজনের বেশি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সরকারি উদ্যোগে এ পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, বেসরকারিভাবে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। আরও কম্বল চেয়ে ঢাকায় চিঠি দেয়া হয়েছে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির উদ্দ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে বণিক সমিতির কার্যালয়ে দেড় শতাধিক শীতার্ত অসহায় মানুষের হাতে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সহসভাপতি একে এম এনামুল কবির, কামরুজ্জামান হিরা, সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, কোষাধ্যক্ষ আলা উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক বাবলুর রহমান , ধর্ম সম্পাদক হাফেজ মো. মোতালেব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আইয়ুবুর রহমান, সদস্য আব্দুল ওহাব, জসিম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন ক্যাপ, ফজলুর রহমান বিশ্বাস, মীর মতিয়ার রহমান, মনিরুদ্দীন, রেজাউল হক তোতা, শফিউল হাসান মিলন ও সিরাজুল ইসলাম। এ সময় সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, শীতকালে শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষরা খুব অসহায় হয়ে পড়েন। তাদের শীতবস্ত্র কেনার ক্ষমতা নেই। সমাজে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, তাদের উচিত দরিদ্র মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।

অপরদিকে, আলমডাঙ্গায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গভীর রাতে ছিন্নমুল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন। ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার গভীর রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কম্বল বিতরণ করেন। তারা রেল স্টেশনে, বাস-টার্মিনালে ও রাস্তাপাশে ঝুপড়িতে রাতযাপন করা মানুষদের গায়ে শীতবস্ত্র  কম্বল দিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হাসান, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল সাকিব, সজিব, টিটন, তপু, মিয়াদ, যুবলীগ নেতা রকি, অটল প্রমুখ।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গরিব শীতার্ত দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা স্কুল মাঠে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গরিব শীতার্ত দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল হক ঝন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক যুগ্মসাধারণত সম্পাদক ও সাবেক সফল পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান নান্টু, তহিদুল ইসলাম ফকা, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানোয়ার হোসেন, আতাল হোসেন, কামরুজ্জামান বাবু, লালন হোসেন, আব্দুর রহমান মেম, ইউপি সদস্য শরিফ হোসেন, আইনাল হক, নজরুল ইসলাম, রফিক হোসেন, অহিদ মাস্টার, মিন্টু মিয়া, রহিম হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল হক টিটু, অন্তু হোসেন, সিজন মিয়া, শুকনাল হোসেন, ডালিম হোসেন, জাহাঙ্গীর মোল্লা, আলিম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, জিনারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী বিশ্বাস।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসন ও আকন্দবাড়িয়া বাউল পরিষদের পক্ষ থেকে বাউল পরিষদ চত্তরে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা আকন্দবাড়িয়া বাউল পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীত শিল্পী মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল, দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমানউল্লাহ আমান, ইন্সপেক্টর (অপরেশন) নিরব হোসেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হানিফ ম-ল, ইকরামুল হক পিপুলসহ সংগঠনের সদস্যরা।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর রুপা এন্টারপ্রাইজের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ প্রাঙ্গণে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিক বিদ্যালয়ে বিএম কলেজের গার্ল গাইডস সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। রুপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার ও ইনার হুইলো প্রেসিডেন্ট নিলুফার ইয়াসমিন রুপা উপস্থিত থেকে গার্ল গাইড ও স্কাউট এর ৬০ জন সদস্যের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপি সদস্য আরমান আলীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৮শ শীতার্তদের অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার সময় রাজনগর গ্রামে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় বারাদী ইউনিয়নের বর্শিবাড়িয়া, পটাপোকা, হাসনাবাদ, মোমিনপুর, কলাইডাঙ্গা বারাদী গ্রাম, পাটকেলপোতা, সিংহাটি, শিমুলতলা, দরবেশপুর, জুগিন্দা শেখপাড়া, কলোনি, রাজনগর গ্রামসহ প্রতিটি গ্রামে অসহায় শীতার্তদের মাঝে ৮শ কম্বল বিতরণ করেন ইউপি সদস্য আরমান আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাদী ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাকছার আলী, ২নং ওয়ার্ডের শফি মীর, ৭নং ওয়ার্ডের আনারুল, আওয়ামী লীগ নেতা কাউছার আলী, মিয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More