চুয়াডাঙ্গায় আরও আক্রান্ত ১০ : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস আক্রন্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা চুয়াডাঙ্গায় আরও একজন বেড়ে ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরতিকে শুক্রবার ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১০ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১শ ৮৫ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৮শ ৬৩ জন।
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন নমুনা সংগ্রহ করেনি। পুর্বের প্রেরিত নমুনার মধ্যে ৩৯ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ১০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১ জন ও দামুহুদা উপজেলার ৬ জন। সদর উপজেলার ৩ জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি জেলা শহরের বুজরুকগড়গড়ি, একজনের ঠাকুরপুরে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় একজন বলে উল্লেখ করা হলেও আক্রান্তে বাড়ি কুষ্টিয়া মীরপুরের মালিহাদে। দামুড়হুদা উপজেলার ৬ জনের মধ্যে কুড়–লগাছির ২ জন, চারুলীয়ার ১ জন, পরীপুর কুল্লার ১ জন, দামড়হুদা দশমির ১ জন ও দামুড়হুদা উপজেলা শহরেরই একজন। গত পরশু রাতে ঢাকার কুর্মিটলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেরুজ অবসরপ্রাপ্ত এডিএম রহমতুল্লাহ। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছির মৃত আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে। সম্প্রতি তিনি শ^াস কষ্টে ভুগছিলেন। তার করোনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় মর্যদা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েচে ৭১ জনে। সীমান্তবর্তি দামুড়হুদার ১৮টি গ্রাম লকডান করেছে প্রশাসন।
গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় সক্রিয় রোগী ছিলেন ২শ ৫১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ৩৮ জন। বাড়িতে ছিলেন ২১০ জন ও রেফার্ড রয়েছেন ৩জন। সদর উপজেলার ৬৬ জনের মধ্যে ৫১ জন বাড়তে, ১৪ জন হাসপাতালে, ১ জন রেফার্ড। আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জন বাড়িতে, ৪ জন হাসপাতালে ও রেফার্ড ১ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩০ জনের মধ্যে হাসপাতলে ১৯ জন, বাড়িতে ১১০ জন, রেফার্ড ১ জন। জীবননগর উপজেলার ৩৬ জনের মধ্যে ৩৫ জন বাড়িতে, একজন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫শ ৩৫ জনেরর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে ২ হাজার ৪শ ৫৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২শ ৮৬ জন। মারা গেছেন ৪৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২ জন।