চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩৭জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বুধবার ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ সংখ্যক সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। যা আশঙ্কাজনক। নতুন আক্রান্ত ৩৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ১৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন ও জীবননগর উপজেলার ৩ জন। বুধবার আরও ৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে রেজিস্ট্রি অফিসসহ বেশ কিছু স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৭ জনের মধ্যে রেলপাড়ার ৪জন, দৌলাতদিয়াড়ের ৫জন, সিঅ্যান্ডবিপাড়ার ৩জন, পলাশপাড়া, কোর্টপাড়া, সাতগাড়ি, দশমাইল ও শঙ্করচন্দ্রের একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩জনের মধ্যে নতুন বাস্তপুরের ১জন, চিৎলার ১জন, ধান্যঘরার ২জন, বিষ্ণপুরের ১জন, সুলতানপুরের একজন, মুক্তারপুরের ১জন, হাতিভাঙ্গার ১ জন, কুতুবপুরের ২ জন, দর্শনার একজন ও দলকা লক্ষ্মীপুরের ১জন। জীবননগর উপজেলার ৩ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের এবং অপর দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি খয়েরহুদায় ও অপরজনের বাড়ি নিশ্চিন্তপুরে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জনের মধ্যে কয়রাডাঙ্গার ২ জন, পুলতাডাঙ্গার ১ জনও খুদিয়াখালীর ১ জন।
গতকাল বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগী ছিলেন ২৪১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৫৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৮ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩২জন, জীবননগর উপজেলার ৩২ জন। সদর উপজেলার ৫৯ জনের মধ্যে ৪৮ জন বাড়িতে, ১০ জন হাসপাতালে একজন রেফার্ড, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন বাড়িতে, ১জন হাসপাতালে একজন রেফার্ড। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩২ জনের মধ্যে ১২০ জন বাড়িতে, ১১ জন হাসপাতালে ১ জন রেফার্ড, জীবননগর উপজেলার ৩২ জনের মধ্যে ৩১ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৮টি গ্রাম লকডাউন করে প্রশাসনের তরফে নানামুখি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ রোধে প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার পশুহাট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুন অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। অনেকের অর্ধদ-াদেশও দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়নি। ঠাসাঠসি ভিড়ের মধ্যেই ক্রেতা বিক্রেতাদের ঘুরতে দেখা গেছে। গত রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের চিত্রও ছিলো অভিন্ন। এদিকে যেসব বাড়িতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, ওসব বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে সতর্ক করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও সর্বক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর বলেছেন, অনেকের বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বুধবার সাতগাড়ির একটি বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে এলাকার কাউন্সিলরকেও হুমকি ধামকির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৫শ ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৫শ ৩৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২শ ৬৭ জন সুস্থতার সনদ পেয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More