চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ছয় জনসহ আরও ৮ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনসহ আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৯ জনে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে মারা গেছেন ১৪২ জন এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৭ জন।
গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা আরও নতুন ১২৬ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৩৩৫ জনে। এদিন ১৩২জনসহ জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭৬ জন। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ১শ জন। এর মধ্যে নিজবাড়িতে ছিলেন ১ হাজার ৯৭২ জন ও হাসপাতালে ছিলেন ১২৮ জন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ গতকাল শনিবার ৩৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ৪২২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২৬জন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত তথা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। শনাক্তকৃত ১২৬ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৫৮ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২১ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২৩ জন ও জীবননগদর উপজেলার ২৪জন। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে চারজন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে, একজন নিজবাড়িতে এবং একজন জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এদিন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দুজন। মারা যাওয়া দুজনই সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৯ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতেই মারা গেছেন ১৪২ জন। চুয়াডাঙ্গার বাইরে মারা গেছেন ১৭ জন। শনিবার নতুন ৩৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা নেয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৪শ ২১ জনের। এদিন ৪২২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১৯ হাজার ১শ ২৯ জনের।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জ্বর, ঠা-া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। যখন শ্বাসকষ্টে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে তখনই তাকে নেয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এতে মৃত্যু হার বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দিগুন রোগী চিকিৎসা ভর্তি আছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে। অনেক মানুষের মাঝে এখনো স্বাস্থ্যবিধির বালায় দেখা যাচ্ছে না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More