চুয়াডাঙ্গায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু

আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার (৩০ জুন) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মৃত তাবু মন্ডলের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৬৫) হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি হয়। ওইদিন দিবাগত রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, গত ২১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলতদিয়াড় গ্রামের আহমদ আলীর স্ত্রী রিতা খাতুন (৪০) করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অপর দিকে, গত ২১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত. কুদরত আলী খাঁনের ছেলে মোস্তফা খাঁন (৭০) করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ১৪,আলমডাঙ্গায় ২৬, দামুড়হুদায় ২০ এবং জীবননগরে ২৬ জন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও চারজন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া একজন জীবননগর এবং একজন দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। বাকি দু’জনের মৃত্যু হয়েছে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া দুজনই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা।
উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া চারজনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More