স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জেলার অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন উলামা পরিষদ–এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে এ মহাসম্মেলন আয়োজন করা হয়।
মহাসম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজি।
দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি টাউন ফুটবল মাঠের মূল মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন এবং পরে জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে আল্লামা মামুনুল হক বলেন, “কোনো রাষ্ট্রের শাসক সেই রাষ্ট্রের মালিক নয়। শাসক হলো রাষ্ট্র পরিচালনার একজন ম্যানেজার মাত্র। ম্যানেজার কখনো মালিকের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ঠিক তেমনি সরকারও জনগণের ওপর যা খুশি চাপিয়ে দিতে পারে না। ভূ-পৃষ্ঠের প্রকৃত মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা। রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহর নীতিমালা অনুসরণ করাই সরকারের দায়িত্ব। আল্লাহর আইন অনুযায়ী পরিচালিত রাষ্ট্রই প্রকৃত অর্থে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র।”
তিনি আরও বলেন, সরকারি নীতিমালা ও মহান আল্লাহ তায়ালার বিধানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করলেই রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এ দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন
কুষ্টিয়া উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদ, জীবননগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান গাওহারী, সদর থানা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুর রশীদ আনসারী, দামুড়হুদা শাখার সেক্রেটারি মুফতি আব্দুস সবুর এবং মেহেরপুর উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি হাফিজুর রহমান মেহেরপুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মাহবুবুর রহমান গাওহারী, মুফতি শোয়াইব আহমাদ কাসেমী, মুফতি আযীযুল্লাহ, মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ রুহী, মাওলানা শামসুজ্জোহা আযাদী, মুফতি আলী আকবর, মাওলানা মামুনুর রশীদ বশির, মাওলানা মাহবুবুর রহমান মজনু, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা জুবায়ের খাঁনসহ অন্যান্য আলেম-ওলামারা।
মহাসম্মেলনে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে পুরো আয়োজনটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.