চুয়াডাঙ্গায় প্রকাশ্যে কৃষক লীগের সদস্য রানাকে কুপিয়ে জখম: রেফার্ড

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব বিরোধের জেরে তুহিন ইসলাম রানাকে নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার ফেরিঘাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। জখম রানাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী রেফার করেন চিকিৎসক। জখম তুহিন ইসলাম রানা (৪০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার।
তুহিন ইসলাম রানার বোন রুনা খাতুন বলেন, আমার ভাই বাড়ি থেকে হয়ে বড় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই এলাকার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে লিপটনসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে রানাকে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় কোপের গুরুতর আঘাত লেগেছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী রেফার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমাদের জেলা কৃষক লীগের সদস্য তুহিন ইসলাম রানার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের আইনের আওতায় এসে শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে, গতকাল দুপুরেই রানাকে অচেতন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী নেয়া হয়। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময়ও রানা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More