চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আন্ত:বিভাগ ফুটবল খেলা চলাকালীন সময় বিপত্তি। হেডিং এর মাধ্যমে বল দখল করতে গিয়ে দু- ফুটবলার রক্তাক্ত জখম, মাথায় দেওয়া হয়েছে ৯ সেলাই
স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আন্ত:বিভাগ ফুটবল খেলা চলাকালীন সময় হেডিং এর মাধ্যমে বল দখল করতে গিয়ে দু- ফুটবলার রক্তাক্ত জখম হয়েছে। মাথায় মাথায় সংঘর্ষ হয়ে দু-ফুটবলার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে একজন খেলোয়ার ৩ সেলাই দেওয়ার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও অবশ জনের মাথায় দেয়া হয়েছে ৬ সেলাই।
জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ আয়োজিত আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত পরশু সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ও দর্শন বিভাগের মধ্যে কার খেলা।
এ খেলা চলাকালীন সময় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের গোলরক্ষকের কিক নেওয়া বলে হেডিংয়ের মাধ্যমে দু- দলের দু-জন ফুটবলার রাশি উঠে বল দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে সেখানেই। দু ফুটবলের মাথায় মাথায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু ফুটবলার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। রক্তাক্ত জখম দু- খেলোয়াড়কে খেলা পরিচালনা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে প্রথমে রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত দুজন খেলোয়াড় হলেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের লিহাজ (২২) ও দর্শন বিভাগের সাহাব (২১)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আহতদের একজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপরজন রক্তাক্ত জখম হয় তার মাথায় দেয়া হয়েছে ৯টি সেলাই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান দুইজন আহত অবস্থায় ভর্তি হন তারা এখন সুস্থ আছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান,
বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। খেলাধুলায় এ ধারণার অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। কোন বিরোধ বা সংঘর্ষের খবর আমার কাছে আসেনি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ.কে এম সাইফুর রশীদ বলেন, আন্ত: বিভাগ ফুটবল চলাকালীন সময় হেডিং এর মাধ্যমে বল দখল করতে গিয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ও দর্শন বিভাগের দু-জন ফুটবল খেলোয়াড় আহত হয়েছে। আহতদেরকে সরকারি কলেজের রেট ক্রিসেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমি চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি এবং স্ব-স্ব বিভাগ আহত খেলোয়ারদের দেখভাল করছেন । আমি হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি তাদের আঘাত গুরুতর নয়।
খেলার রেফারী হাফিজুর রহমান বলেন, লাফিয়ে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দুদলের খেলোয়াড় বল দখলের চেষ্টা করা কালে মাথায়-মাথায় সংঘর্ষ হয়। ফলে দু-জন ফুটবলার রক্তাক্ত যখন হয়। খেলার নিয়ম অনুসারে খেলা থামিয়ে মাঠে চিকিৎসকদেরকে আহ্বান জানানো হয়। চিকিৎসক টিম দু-আহত খেলোয়াড়কে ট্রেসারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভড করেনি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মতো বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলা-ধুলাসহ যে কেনো বড় অনুষ্ঠান হলে অধিকাংশ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ও অনেক পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের জানানো হয় না বলে অভিযোগ আছে একাধিক সূত্রে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.