চোরাই গয়না কিনে গ্যাঁড়াকলে গাংনীর জুয়েলারি ব্যবসায়ী

আলমডাঙ্গায় চুরি হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মালামাল উদ্ধার : আটক দুই

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার একটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরির ঘটনায় ফেঁসে গেছেন গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আজিম। তার দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া সেই সোনার গয়না। এ অপরাধে আজিম (৪০) ও অভিযুক্ত চোর রবিউল ইসলামকে (৩৬) আটক করেছে ডিবি। গেল দুদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ অভিযানে তাদেরকে আটক পূর্বক চোরাই মালামাল উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক আজিম গাংনী বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেটের আলিফ জুয়েলার্স ২ এর স্বত্বাধিকারী এবং রবিউল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের জুল্লুর রহমানের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা ডিবি সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের রবিউল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। গত ২৮ মে দুপুরে তার স্ত্রী কয়েক ঘণ্টার জন্য জরুরি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। এ সময় বাড়ির প্রধান ফটক ও ঘরগুলো তালাবদ্ধ ছিলো। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের তালা ভেঙে চোর প্রবেশ করে। ঘরের মধ্যে থাকা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ ৮০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন এবং দুই ভরির বেশি পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না চুরি করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত চোর। পরে বিকেল ৩টার দিকে জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী বাড়ি ফিরে চুরির বিষয়টি টের পান। ওই দিনই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরদের নামে আলমাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোর আটকে মাঠে নামে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিবি নিশ্চিত হয় এ চুরির সাথে জড়িত মেহেরপুরের কালিগাংনী গ্রামের রবিউল ইসলাম। ডিবি অভিযানে রবিউল ইসলামকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করা হয়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে চুরি করা ৮০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল এবং ২টি হাতের বালা উদ্ধার করে ডিবি। ডিবি জানায়, চুরি করা অন্যান্য সোনার গয়নার বিষয়ে রবিউল ইসলাম স্বীকারোক্তি দেয় যে, গাংনী বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেটে অবস্থিত আলিফ জুয়েলার্স ২ এর দোকানে বাকি গয়নাগুলো সে বিক্রি করেছে। এর পরে ডিবি সদস্যরা রবিউলকে নিয়ে আলিফ জুয়েলার্স ২ এ অভিযান চালায়। এ সময় রবিউলের কাছ থেকে গয়না কেনার কথা স্বীকার করেন দোকান মালিক আজিম। একইসাথে ৩ জোড়া কানের দুল, লকেটসহ ২টি চেইন ও ৬টি আংটি বের করে ডিবির হাতে তুলে দেয় আজিম। চোরাই গয়না কেনার অপরাধে আজিমকে আটক করে ডিবি। আজিম ও রবিউলকে নিয়ে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দুজনকে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে ডিবি। এদিকে গয়না মালিকের দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে অভিযুক্ত চোর রবিউল এবং চোরাই গয়না কেনার অপরাধে আজিমকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে বলে আলমডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More