ছাত্রলীগ কর্মীর সাইবার বুলিংয়ের শিকার ইবির ৭৩ ছাত্রী!

মিজান বিশ্বাস নামে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মীর সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ইবির ৭৩ ছাত্রী। ‘ক্রাশ অ্যান্ড কনফিউশন’ নামের একটি পেজ থেকে এ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই পেজ থেকে আপত্তিকর ক্যাপশন (ইবি কাঁপানো সব সুন্দরী একসাথে, ইমো নাম্বার পেতে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে সঙ্গেই থাকুন) লিখে একসঙ্গে ৭৩ জন ছাত্রীর ছবি প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনার পর ওই পেজের অ্যাডমিনকে দায়ী করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়নসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিন্দা জানিয়েছেন। ওই পেজটির একমাত্র অ্যাডমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মিজান বিশ্বাস। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ২০১৮ সাল থেকে ছয় হাজার সদস্যবিশিষ্ট ওই পেজটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন মিজান। ওই পেজের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে মিজান বিশ্বাস বলেন, পেজে অনেক দিন কিছু পোস্ট করা হয় না। তাই মজা করে করেছি। এত বড় ভুল হবে বুঝতে পারিনি। সবাই নেগেটিভ কমেন্ট করতে থাকলে পোস্টটি ডিলেট করেছি। আমি ক্ষমা চাচ্ছি। তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারাও তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনাকে কঠোরভাবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে ওই পেজের অ্যাডমিনকে খুঁজে বের করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেল কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে আইসিটি সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠোর পদক্ষেপ নেব। কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন- পূর্বেও ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে ছাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও এখনো কোনো বিচার হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত বিচার দাবি করেও বিচার পাই না। কর্তৃপক্ষের ঢিলেমি ও অবহেলার কারণেই আমরা বারবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিককে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কারা পেজটি চালায় তা দেখতে আইসিটি সেল কাজ করছে। অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থথা নেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More