জীবননগর ব্যুরো : জীবননগর উপজেলার হরিহরনগরে শত্রুতার জেরে কৃষক জালালের প্রায় ৩০০টি ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা । এতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয় তার।শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিহরনগর গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার পুত্র জালাল উদ্দিন (৪৮) নিজের ২৫ কাঠা জমিতে দুই বছর আগে পেয়ারা গাছ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে প্রতিটি পেয়ারা গাছে ব্যাপক পরিমাণে ফল ধরেছে। কয়েক সপ্তাহ পর পেয়ারা বিক্রি শুরু হবে কিন্তু রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাগানের সমস্ত গাছ কেটে রেখে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে আমি এই পেয়ারা বাগান তৈরি করেছিলাম। নিজের সন্তানের মত লালন পালন করেছি । গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরায় আমি এবছর লাভের আশা করছিলাম। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর ফল বিক্রি শুরু হবে। এরপর রবিবার সকাল বেলায় এসে দেখি আমার প্রতিটি ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। কৃষি কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়। কৃষি কাজের মধ্য দিয়ে যে আয় হয় তাতে আমার সংসার এবং সন্তানের পড়াশোনার খরচ চলে। কিন্তু আজ আমার সব শেষ করে দিল।
তিনি আরো বলেন, আমার এই ২৫ কাঠা জমি নিয়ে হরিহরনগর গ্রামের সামাদের পুত্র আলমগীরের (২৫) সাথে ঝামেলা চলছিল। এর আগে সে আমার এই জমি বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করা সহ জাল কেটে দেয়। এমনকি আমার সন্তানের গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে প্রাণে মেরে ফেলতে যায়। যেহেতু অনেক আগে থেকেই সে আমার ক্ষতি করছে সেহেতু এটি তারই কাজ।
কৃষক জালালের পুত্র আকিব হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত জের ধরে আলমগীর বেশ কয়েকবার আমাকে মেরেছে এমনকি আমার গলায় ছুরি ধরেও প্রাণে মেরে ফেলতে গিয়েছিল। এছাড়াও সে প্রায় আমাদেরকে জমির গাছ কেটে ফেলার হুমকি দিত। মাদকসেবী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.