ঝিনাইদহে ভুতুড়ে বিদ্যুত বিল : বিপাকে গ্রাহকরা

লকডাউনে মিটারে রিডিং না দেখেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্যুত বিল করার অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে করোনাকালে ভুতুড়ে বিদ্যুত বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। লকডাউনে মিটার রিডিং না করেই বিদ্যুত বিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সঠিক বিল দেয়ার দাবি গ্রাহকদের। এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ওজোপাডিকো কর্মকর্তারা। ঝিনাইদহ সদরের ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান। গতকাল পর্যন্ত মিটারের রিডিং ৭ হাজার ৩৪১ ইউনিট থাকলেও ক’দিন আগের দেয়া বিদ্যুত বিলে রিডিং দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৪শ’ ইউনিট। করোনায় কর্মহীন তার উপর বাড়তি এই বিদ্যুত বিল নিয়ে বিপাকে তিনি। আজিজুর রহমান বলেন, ৬০ ইউনিট বেশি এসেছে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার উপার্জন বন্ধ। এখন বাড়তি বিল কীভাবে দেবো। শহরের কাঞ্চননগর এলাকার একটি বাসভবনের বিদ্যুত বিলে বর্তমান মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯৪০ ইউনিট। পূর্ববর্তী ইউনিট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ ইউনিট। কিন্তু মিটারের দেখা যাচ্ছে বর্তমান রিডিং ১ হাজার ৮৪৭ ইউনিট। এমনই ভুতুড়ে বিলের খপ্পরে পড়েছেন ঝিনাইদহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র হাজার হাজার গ্রাহক। গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। প্রতিদিন বিদ্যুত অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে লাইন দিচ্ছে ভুক্তভোগীরা। সেখানেও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এক ভুক্তভোগী বলেন, প্রতি মাসে যেখানে ১৫০ টাকা বিল আসে। সেখানে তিন মাসে করেছে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। তিন থেকে চার গুণ বেশি বিল হয়েছে যা আমার পক্ষে পরিশোধ করা অসম্ভব। এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোলি’র নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। বিদ্যুত বিভাগের দেয়া তথ্যমতে জেলা শহর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে ওজোপাডিকো’র গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More