দর্শনায় কেরু চত্বরে দুই দিন পর আবারও বোমা উদ্ধার এলাকা জুড়ে আতঙ্ক : বিকট শব্দে নিষ্ক্রিয় করলো র‌্যাব

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড চত্বরে আবারও বোমা উদ্ধার করে নিষ্কিয় করেছে র‌্যাব। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদিন বোমাাসদৃশ বস্তুটি ঘিরে রাখে। রাতে রাজশাহী থেকে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে সেটি নিষ্কিয় করে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে কে বা কারা কেরুজ এলাকায় কালো রঙের টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তুটি (কৌটা) ফেলে রেখে গেছে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বোমাসদৃশ বস্তু পড়ে থাকার খবরে পুলিশের দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ও সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বোমাসদৃশ বস্তুটি নিষ্কিয় করতে রাজশাহীর র‌্যাব-৫-এর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। ওই ইউনিট পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পুলিশ সতর্ক পাহারায় ছিলো। রাত ৮টার দিকে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এ সময় বিকট শব্দে এলাকা কম্পিত হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেরু চত্বরে লাল টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ কৌটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে র‌্যাব-৫’র বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট দর্শনায় এসে তা নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিষ্ঠানে সদ্য স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কোনো পক্ষ এ ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, কেরুর নির্বাচন ঘিরে টাকার ছড়াছড়ি চলে। যেহেতু নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতা বা কর্মচারীদের নিকট হতে আর্থিক সুবিধা পেতে আতঙ্কে রাখতে এ ধরনের কাজ করতে পারে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দর্শনা থানার ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, আবারও একই ধরনের কালো টেপ মোড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। এটাও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ পূর্বের পাওয়া ককটেলের সঙ্গে এটার হুবহু মিল হয়েছে। তবে আজকেরটা কালো টেপ মোড়ানো। রাজশাহী র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয় টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তা নিস্ক্রিয় করেছে। তিনি আরও বলেন, গতবারের ঘটনায় কেরু কো¤পানি কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।
সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা বলেন, বৃহস্পতিবার কেরু চত্বরে পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি ছিলো ককটেল। শুক্রবার প্রায় কাছাকাছি স্থানে পড়ে থাকা কালো টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তুটিও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট না থাকায় রাজশাহী র‌্যাব-৫’র বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দেয়া হলে তারা এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More