দামুড়হুদার লক্ষীপুর বিল দলকা জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ !

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে বিল দলকা জলমহালে অবৈধভাবে মাছ ধরে বিক্রির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীরা। গত শুক্রবার থেকে গতকাল সোমবার চারদিনে লক্ষাধিক টাকার রুই-কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে অবৈধভাবে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছে, দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের শহর আলীর ছেলে রনির নেতৃত্বে মান্নান, বাসার , তারিক, লোকমান, সাইদুর, হুমায়ুন, কালাম. মোশারেফ, বজলু ও দেলোয়রসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন অমৎস্যজীবী ৮২৮ বিঘা বিল দলকা হলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এরপর স্থানীয় বাজারসহ আশপাশের বাজারে মাছ বিক্রি করছে।
এদিকে, লক্ষীপুর দলকা মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ণিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মুকতার আলী জলমহালটি খাসমুলে বন্দোবস্ত নবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১৭ জুলাই একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
দলকা মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৮৫ জন। এরা সকলেই বিল দলকা পাড়ের বাসিন্দা এবং প্রকৃত মৎস্যজীবী। জলমহালটির ইজারা সংশ্লিষ্ট করে হাইকোর্ট বিভাগে ভাই ভাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি রীট পিটিশন ১৩৮৭১/২০১৮ দায়ের করেন। আদালত ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন এবং ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আদেশটি বহাল থাকে। আবার হাইকোর্ট বিভাগ রীট পিটিশন মামলাটি ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বাতিল করেন। ২০২২ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগ রীট পিটিশন গ্রহন করেন এবং মামলাটি সচল রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। গত ১ মার্চ থেকে বর্তমানে সাড়ে ৪ মাস খাস ইজারাবিহীন অবস্থায় আছে বিল দলকা জলমহালটি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা বেগম বলেন, অবৈধভাবে কেউ মাছ ধরছে না। হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সালের জন্য সরকারি লিজ দেয়া আছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More